ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

হালদায় রাতেও ডিম ছেড়েছে মা মাছ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
হালদায় রাতেও ডিম ছেড়েছে মা মাছ ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম: হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছেড়েছে। প্রথমে নমুনা ডিম, পরে পুরোদমে ডিম ছাড়তে শুরু করেছে মা মাছ।

এখন অপেক্ষা বজ্রসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের।  

মঙ্গলবার (১৭ মে) মধ্যরাতে হালদা নদীতে রুই জাতীয় মাছ আবার ডিম ছেড়েছে।

গত তিন-চার দিন ধরে নমুনা ডিম ছাড়ছে মা মাছ। সোমবার থেকে পুরোদমে ডিম ছাড়তে শুরু করেছে মা মাছ। গত তিন-চার দিনের টানা পরিশ্রমে ডিম সংগ্রহকারীরা ক্লান্ত থাকায় অনেকেরই এই ডিম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

নমুনা ডিম ছাড়ার পর পুরোদমে রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ নমুনা ডিম ছেড়েছে। নমুনা ডিমের পরিমাণ অনেকাংশেই বেড়েছে৷ তাই পুরোদমে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। সোমবার(১৬ মে) ভোরে বিভিন্ন স্থানে নমুনা ডিমের চেয়ে একটু বেশি ডিম ছেড়েছে মা মাছ। এছাড়াও জোয়ারের সময় শনিবার রাত সাড়ে ১১টা, ভাটার সময় শেষ রাত ৩টার দিকে এবং রোববার দুপুরে নদীর বেশ কিছু এলাকায় নমুনা ডিম পাওয়া গেছে।  

গত রোববার পূর্ণিমার তিথি/জো ছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে এ জো শুরু হয়। আগামী বুধবার পর্যন্ত জো চলবে। নদীতে মা মাছ নমুনা ডিম দেওয়ার পর সংগ্রহকারীরা মনে করেছিলেন জো চলাকালে যেকোনো সময় মাছ ডিম ছাড়বে। অবশ্য ডিম ছাড়তে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত, শীতল হওয়াসহ অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। এবার জো চলাকালে সেই রকম পরিবেশ ছিল না। রোববার রাতে বৃষ্টি হয়েছিল। তবে বেশি ডিম ছাড়ার মতো বৃষ্টিপাত হয়নি।

হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মনজুরুল কিবরীয়া বাংলানিউজকে বলেন, শনিবার রাতের জোয়ারের পর থেকে মা মাছ নমুনা ডিম ছাড়া শুরু করেছে। রোববার ভোররাতে ভাটায়ও নমুনা ডিম দিয়েছে। সোমবার ভোররাতেও নমুনা ডিমের চেয়ে একটু বেশি ডিম ছেড়েছে। দুপুরের জোয়ারেও ডিম ছেড়েছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মা মাছ ডিম ছাড়ে। গত তিন-চার দিনের টানা পরিশ্রমে ডিম সংগ্রহকারীরা ক্লান্ত থাকায় অনেকেরই এই ডিম সংগ্রহ সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, এখন অপেক্ষা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের। সামনে আরও জো রয়েছে। এসব জো’তে পরিবেশ অনুকূলে থাকলে পুনরায় ডিম ছাড়বে বলে আশা করছি।

হালদায় গতবার মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫০০ কেজি। রেণু পোনা হয়েছিল ১০৫ কেজি। গতবার প্রজননের সময় ঘূর্ণিঝড় হওয়া এবং নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ডিম কম ছেড়েছিল মা মাছ।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।