ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ভারত বাংলাদেশের সু-সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে: মেয়র রেজাউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২২
ভারত বাংলাদেশের সু-সম্পর্ক চিরকাল অটুট থাকবে: মেয়র রেজাউল ...

চট্টগ্রাম: মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর সহযোগিতার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ক দিনদিন নবতর উচ্চতায় উপনীত হচ্ছে। ভারত শুধু বাংলাদেশের নিকটতম প্রতিবেশী নয় বিশ্বস্ত বন্ধুও বটে।

দু’দেশের সু-সম্পর্কের বন্ধন হৃদয়ের গভীরে প্রোথিত যা প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে চিরকাল অটুট থাকবে।  

আবহমানকাল থেকে চট্টগ্রাম আন্দোলন-সংগ্রাম ব্যবসা-বাণিজ্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী স্থান।

এখানে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের ধর্মীয় সংস্কৃতিসহ যাবতীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে আসছে।  

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে চট্টগ্রামে নবনিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে মেয়র এসব কথা বলেন। ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নগর ভবনে এসে পৌঁছলে মেয়র তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী।

মেয়র ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্রপথিক মাস্টারদা সূর্য সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ বিপ্লবীদের স্মৃতি ও ইউরোপীয়ান ক্লাবকে মিউজিয়াম করে বাঙালির গৌরবের অধ্যায়গুলো নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার উদ্যোগের কথা জানান।  

মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। অর্থনৈতিক গতিশীলতার কারণে শুধু শহরেই নয়, উন্নয়ন হয়েছে গ্রামীণ জনপদেও।  

তিনি চসিকের বিদ্যুতায়ন প্রকল্পে ভারত সরকারের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ দেন এবং প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। তিনি নবনিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রামের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য অর্থনীতি আন্তঃসংযোগে সর্বাত্মক প্রয়াসের মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

মেয়র করপোরেশনের নানামুখী সেবা কার্যক্রমের তথ্য রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করে বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের মৌলিক কাজ হচ্ছে তিনটি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে নগরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আলোকায়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন। এ মৌলিক কার্যক্রমের বাইরে চসিক ৯০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ৬০টি দাতব্য চিকিৎসালয়, ৪টি মাতৃসদন, হোমিও দাতব্য চিকিৎসালয়, হেলথ টেকনোলজি, মিডওয়াইফ ইনস্টিটিউট পরিচালনা করছে। অন্য কোনো সিটি করপোরেশন এ ধরনের দায়িত্ব পালন করে না।

ভারত-বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেন জানিয়ে ভারতের নবনিযুক্ত সহকারী হাইকমিশনার বলেন, দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন বিশেষ করে কোভিড ভ্যাকসিনেশনসহ অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে এগিয়ে আছে।

তিনি বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।  

চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযোগ বৃদ্ধি দুই দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।  

এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও জনগণের প্রতি ভালোবাসার প্রশংসা করেন। তিনি চট্টগ্রামের মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়েছেন বলে অভিব্যক্তি জানান।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২২
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।