ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পর্যটনে অপার সম্ভাবনার দেশ ভারত: সহকারী হাইকমিশনার 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
পর্যটনে অপার সম্ভাবনার দেশ ভারত: সহকারী হাইকমিশনার  মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন।

চট্টগ্রাম: ভারতের সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, ভারত পর্যটন খাতে অপার সম্ভাবনার এক দেশ। ভারতের রূপ-সৌন্দর্য্য দেখতে পৃথিবীর সব প্রান্ত থেকে সৌন্দর্য্য পিপাসুরা ছুটে আসেন।

ভারতের জিডিপিতে পর্যটন খাতের বিশাল অবদান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) নগরীতে ভারতের পর্যটন খাত নিয়ে সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, করোনায় পুরো পৃথিবীর পর্যটন খাতই স্থবির হয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করে বিকল্প উপায়ে এই খাতকে বিকশিত করতে পারস্পরিক অংশগ্রহণের মাধ্যমে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেছেন। বিশেষ করে চট্টগ্রামের পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ছিল ভারত। ভিসা প্রদানের পরিসংখ্যানে চট্টগ্রামের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

ভারত সরকারও বাংলাদেশিদের বিষয়ে খুবই আন্তরিক উল্লেখ করে ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ভিসা প্রসেসিং বর্তমানে খুবই সহজ। ভারতে খুব স্বল্প খরচেই বাংলাদেশিরা ঘুরতে যেতে পারেন। এমনকি উন্নতমানের মেডিক্যাল সেবাও গ্রহণ করতে পারেন।

আলোচনা সভায় ভারতীয় হাই কমিশনের দ্বিতীয় সচিব উদত ঝা বলেন, ভারত স্বর্গীয় এক দেশ। পাহাড়, নদী, সমুদ্র, বন, সংস্কৃতির এক অনন্য নিদর্শন রয়েছে ভারতে। অনেক বাংলাদেশি মনে করে ভারত তাদের দ্বিতীয় বাড়ি। সাংস্কৃতিক ও ভৌগলিকভাবে দুইদেশের মধ্যে বেশ মিল রয়েছে। বাংলাদেশিরা ভারতে ঘুরতে গেলে অসাধারণ তৃপ্তি উপভোগ করবেন। ভারতের সিকিম, পুনে, গোয়া, দিল্লী, কলকাতায় রয়েছে অসাধারণ দৃষ্টিনন্দন পর্যটন স্পট।

চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ভারতকে অনেক বেশি ভালোবাসে। বাংলাদেশের মানুষ চিকিৎসার জন্য ভারতকেই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেয়।  

আলোচনা সভায় অরনি ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের সত্ত্বাধিকারী দিপুল বড়ুয়া বলেন, বাংলাদেশের সব ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পুণ্যক্ষেত্র ভারত। বাংলাদেশর মানুষ ধর্মীয় তীর্থস্থান হিসেবে ভারতকে যেমন ভালোবাসে তেমনি ভালোবাসে পর্যটনক্ষেত্র হিসেবেও। ভারত ট্যুরিজমের জন্য অসাধারণ এক দেশ।  

আলোচনা সভায় শেখ মো. আকিজ বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে ভারত স্থল সীমান্ত সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করলে এই সুযোগ নিয়ে কিছু এয়ারলাইন্স অস্বাভাবিকভাবে বাংলাদেশ-ভারত রুটে ভাড়া বৃদ্ধি করে। তখন বিপাকে পড়ে মধ্যম আয়ের মানুষ। সাধারণ মানুষের স্বার্থে তা হতে দেওয়া যাবে না। মধ্যম আয়ের মানুষ স্থলপথের ওপর নির্ভরশীল। তাই স্থলপথে বিধি-নিষিধের পরিবর্তে করোনাকালে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে বিমানবন্দরের ন্যায় স্থলবন্দর রুটে যাতায়াত সহজ করা যেতে পারে।

হোটেল দি পেনিনসুলার ম্যানেজার কামাল হোসেন বলেন, ভারতীয় নাগরিকরা বাংলাদেশ ভ্রমণে এলে হোটেল পেনিনসুলায় আসার আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। আমাদের হোটেলে পর্যটকদের জন্য বিশেষ প্যাকেজ রয়েছে।  

অপর বক্তা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অসাধারণ। এ সম্পর্ক পর্যটনক্ষেত্রের মাধ্যমে আরও এগিয়ে যেতে পারে।

আলোচনা সভায় স্পাইস জেট এর মিস্টার মনোজিত বলেন, ভারত নামটা বাংলাদেশিদের জন্য প্রশান্তির এক নাম। বাংলাদেশিরা ভারতে গিয়ে অসাধারণ দৃশ্য উপভোগ করতে পারে।

আলোচনা সভায় ভারতের বিভিন্ন পর্যটন স্পট, সাংস্কৃতিক দিক ও ধর্মীয় রীতিনীতি নিয়ে বেশকিছু তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২২
এসি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।