চট্টগ্রাম: রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত এইচ.ই.মিং আলেক্সান্ডার ম্যানটিটাক্সি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে লালদীঘি পার্কে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের নাবিক ইউরিজ রেডকিনের স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেছেন।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে শ্রদ্ধানিবেদন করেন তাঁরা।
সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন নাবিকের আত্ম বিসর্জনকে দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মৈত্রীর বন্ধনকে মর্যাদাপূর্ণ ও সুদৃঢ় ভিত্তি দিয়েছে।
তিনি বলেন, একাত্তরে হানাদার বাহিনী তাদের পরাজয় নিশ্চিত জেনে নবউদিত বাংলাদেশের অর্থনীতি পঙ্গু করার অসৎ উদ্দেশ্যে কর্ণফুলীর বন্দর চ্যানেলে শত-শত মাইন পুঁতে রাখে। চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেলকে সচল করার জন্য চ্যানেলটিকে মাইনমুক্ত করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদের আহ্বানে সাড়া দেয় এবং তাদের নাবিকদের একটি দলের মাইন মুক্ত করার সফল অভিযানের ফলশ্রুতিতে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল আশঙ্কা মুক্ত হয়ে গতিশীলতা ফিরে পায়। এজন্য রেডকিনের আত্মত্যাগ আমরা কখনো ভুলতে পারি না। তিনি শুধু বন্ধু নন, বাঙালির পরামাত্মীয়।
রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত বলেন, চট্টগ্রামে আমার প্রথম সফর। এখানকার প্রাকৃতি সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। স্বাধীনতার পর খুব কম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতকদের হাতে নির্মম ভাবে খুন হওয়ায় বাংলাদেশের উন্নতি ও অগ্রগতিতে ভাটা পড়ে। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এ দেশ এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোড মডেল। এ জন্য বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে আমরা গর্বিত। রাশিয়ার সহযোগিতায় পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে।
এ কাজ সম্পন্ন হলে বাংলাদেশ পারমানবিক শক্তির অংশ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি এতদিন পরও তাদের নাবিক রেডকিনকে স্মরণ রাখায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি বিশেষ করে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, রাশিয়ান অনারারি কনসাল স্থপতি আশিক ইমরান, রুমকি সেনগুপ্ত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২১
এআর/টিসি