চট্টগ্রাম: নগরের উত্তর কাট্টলীতে সাগরের কোলে বিস্তীর্ণ এলাকার জমিতে চলছে নানান জাতের শীতকালীন সবজি চাষ।
অধিক লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় লোকজন সবজি চাষে ঝুঁকেছেন।
তবে উপকূলীয় এলাকায় নগরায়নের ফলে গড়ে ওঠছে সুউচ্চ অট্টালিকা আর শিল্প কারখানা।
একসময় এখানকার জমিতে তরমুজ ও ধান চাষ করে মানুষ জীবিকা নির্বাহ করতো। ৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর এসবের আবাদ কমে গেছে। তার বদলে এসেছে মৌসুমি সবজি।
গত ৮-৯ বছর ধরে ব্যাপক আকারে এখানে সবজি চাষ হচ্ছে। গ্রীষ্মকালীন সবজির চেয়ে শীতকালীন সবজির চাষ বেশি হয়।
এখানকার উৎপাদিত সবজি নগরীর মানুষের চাহিদার বড় অংশ পূরণ করছে। এলাকার কৃষক মো. সালেক বলেন, এক কানি জমিতে তিনি নিজেই সবজি চাষ করেন।
হাইব্রিড বীজে এক মৌসুমে একাধিকবার ফলন পাওয়া যায়। লাভ ভালো হওয়ায় এই জমিতে শীত ও গ্রীষ্ম-দুই মৌসুমে সবজি চাষ করেন বলে জানান তিনি।
এলাকার চাষী মাহতাব বলেন, সবজি চাষে লাভ ভালো হওয়ায় বর্গা জমির লাগিয়ত খরচ ১৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। আগে ৪-৫ হাজার টাকায় বর্গা নেওয়া যেত।
চাষীরা নিজ উদ্যোগে সনাতন পদ্ধতিতে এখানে চাষাবাদ করে আসছে। অনুমানের ওপর ভিত্তি করেই জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করেন তারা।
সবজি চাষীরা জানান, উপকূলীয় এলাকায় উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না, পাইকাররা ক্ষেতে এসে সবজি কিনে নিয়ে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০২১
ইউডি/এসি/টিসি