ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৮ বছরেও হয়নি বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দুর্ঘটনার বিচার

মিনহাজুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
৮ বছরেও হয়নি বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার দুর্ঘটনার বিচার ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙ্গে পড়ার মামলায় ৮ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি বিচার কার্যক্রম। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর নির্মাণাধিন ফ্লাইওভারটির তিনটি গার্ডার ভেঙ্গে পড়ে নিহত হন ১৩ জন।

এ ঘটনায় ওই বছরের ২৬ নভেম্বর চান্দগাঁও থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।  

ঘটনার ৮ বছর ১১ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি বিচার।

এ ঘটনা সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো নিহতের স্বজনরা।
 
আদালত সূত্রে জানা যায়, কর্তব্যে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙ্গে প্রাণহানির ঘটনায় প্রকল্প পরিচালক চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন আদালতে। ২০১৪ সালের ১৮ জুন তৎকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমানের আদালতে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়।  বর্তমানে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আগামী ১৩ জানুয়ারি মামলাটি সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য্য রয়েছে।

অভিযুক্ত আটজন হলেন, মীর আক্তার অ্যান্ড পারিশা ট্রেড সিস্টেমস (জে.ভি) বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গিয়াস উদ্দীন, সুপারভিশন ইঞ্জিনিয়ার মো. মনজুরুল ইসলাম, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হাই, মো. মোশরাফ হোসেন রিয়াজ, ডাইরেক্টর এডমিন প্রকৌশলী মো. শাহজাহান আলী, আব্দুল জলিল, আমিনুর রহমান, ও রফিকুল ইসলাম।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে ৮জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয়েছিল। আদালতে ১৮ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণও করা হয়। বর্তমানে মামলাটি অন্য আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।  

করোনার কারণে মামলার বিচারকি কার্যক্রম থমকে গেছে জানিয়ে মামলার রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অনুপম চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, বর্তমানে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর আদালতে বিচারাধীন রয়েছে মামলাটি। দীর্ঘদিন যাবত মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতের চলমান ছিল। গত বছর মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে এসেছে। চলতি বছর করোনার কারণে আদালতে কোন সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষীর জন্য রয়েছে, আশকরি দ্রুত সময়ে মামলাটি শেষ করে দিতে পারবো।  

চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, বহদ্দারহাটে নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ভেঙে প্রাণহানির ঘটনার মামলাটি আগামী ১৩ জানুয়ারি সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য রয়েছে। মামলাটি বিচারিক কার্য প্রায় শেষের দিকে, দ্রুত শেষ হয়ে যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
এমআই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।