ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কোকেন জব্দের মামলা: সাক্ষী অসুস্থ, হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১
কোকেন জব্দের মামলা: সাক্ষী অসুস্থ, হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আদালতে সাক্ষী হাজির হলেও সাক্ষী অসুস্থতার কারণে হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ।

সোমবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ তৃতীয় মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এ আদেশ দেন।

 

আদালত সূত্রে জানা যায়, কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক আইনের মামলায় ১০ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়। তারা হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক একেএম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান মণ্ডল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডনপ্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।

মামলার দায়রা মামলা নম্বর-১০১৪৭/১৮ ।

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেন জব্দের ঘটনায় মাদক আইনের মামলায় সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আজ একজন হাজির করা হয়। সাক্ষী তৎকালীন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফরিদ আলম আদালতে তৎকালীন গ্রেফতার আসামি গোলাম মোস্তফা সোহেল, মেহেদী আলম ও মোস্তফা কামাল ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আজ সোমবার সকালে মো. ফরিদ আলম সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালতে হাজির হন। কিন্তু দুপুরের দিকে অসুস্থতা বোধ করায় মো. ফরিদ আলম সাক্ষ্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এ মামলায় এখনো পর্যন্ত ২১ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন। আগামী ১০ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।  

মামলা পরিচালনায় সময় সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট সাব্বির আহম্মেদ শাকিল, মো. আবু ঈসা, মো. সাহাব উদ্দিন ও সাফায়াত শাকির।  

২০১৫ সালের ৭ জুন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটকের পর সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। পরে আদালতের নির্দেশে কনটেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ঢাকার বিসিএসআইআর ও বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় এতে তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৭ জুন বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও তার ভাই গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে মামলা দায়ের করে পুলিশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০২১ 
এমআই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।