ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ধর্মঘট প্রত্যাহার

৩৪ ঘণ্টা পর পুরোনো চেহারায় ফিরল বন্দর এলাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
৩৪ ঘণ্টা পর পুরোনো চেহারায় ফিরল বন্দর এলাকা চট্টগ্রাম বন্দর। ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের বৈঠক শেষে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণায় অচলাবস্থা কেটেছে চট্টগ্রাম বন্দরের আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে। প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর পণ্যবাহী ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ও কনটেইনারবাহী প্রাইম মুভারের ব্যস্ততায় পুরোনো চেহারায় ফিরেছে বন্দর এলাকা।

 

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে বন্দরে পণ্যবাহী গাড়ি আসা-যাওয়া শুরু হয়। এনসিটি ও সিসিটিতে প্রাইম মুভার চলাচল শুরু হয় ৫টায়।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, বন্দরের ভেতর প্রায় ১ হাজার পণ্যবোঝাই করা গাড়ি ধর্মঘট প্রত্যাহারের অপেক্ষায় ছিল। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সেগুলো বন্দর থেকে একে একে বের হতে থাকে। এরপর খালি গাড়ি বন্দরে ঢোকানো হয়। এ সময় বন্দরের আশপাশের সড়কগুলোতে থেমে থেমে যানজট লেগে যায়।   

তিনি বলেন, পরিবহন ধর্মঘট চলাকালে বন্দরের ভেতরে টার্মিনাল, জেটি ও শেডের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।  

মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে ধর্মঘটের কারণে সারা দেশের মতো চট্টগ্রাম বন্দরেও কোনো পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইম মুভার ঢুকতে বা বের হতে পারেনি। এতে বন্দরের ভেতরে ও বাইরের ১৯টি বেসরকারি কনটেইনার ডিপোতে (অফডক) কনটেইনার পরিবহন কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। উদ্বেগ দেখা দেয় আমদানিকারক, পোশাক রফতানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্ট, বার্থ অপারেটরসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে। ধর্মঘট প্রত্যাহারের খবরে স্বস্তি নেমে এসেছে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতাদের বৈঠক শেষ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি তালুকদার মো. মনির এবং বাংলাদেশ কাভার্ডভ্যান- ট্রাক- প্রাইম মুভার পণ্যপরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মুকবুল আহমদ।

১৫ দফা দাবিগুলো হলো- মোটরযান মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বর্ধিত আয়কর অবিলম্বে প্রত্যাহার করা, যেসব চালক ভারী মোটরযান চালাচ্ছেন তাদের সবাইকে সহজ শর্তে এবং সরকারি ফির বিনিময়ে লাইসেন্স দেওয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে পুনরায় হয়রানিমূলক ফিটনেস ও পরীক্ষা পদ্ধতি বাতিল, সব শ্রেণির মোটরযানে নিয়োজিত শ্রমিকদের রাষ্ট্রীয় রেশন-সুবিধার আওতায় আনা, সব বন্দরে অবস্থিত ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মনোনীত প্রতিনিধি এবং সব ড্রাইভার ও সহকারীকে বন্দরে হয়রানিমুক্ত প্রবেশের সুবিধার্থে বার্ষিক নবায়নযোগ্য বায়োমেট্রিক স্মার্টকার্ড দেওয়া, গাড়ির কাগজপত্র চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট স্থান নির্ধারণ করা, যেখানে-সেখানে গাড়ি চেকিং না করা, পুলিশের ঘুষ বাণিজ্যসহ সব ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধ, প্রতি ৫০ কিলোমিটার পরপর পণ্য পরিবহনে শ্রমিকদের জন্য দেশের সড়ক ও মহাসড়কে বিশ্রামাগার ও টার্মিনাল নির্মাণ, সড়ক দুর্ঘটনায় অথবা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুবরণকারী সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের পরিবারকে রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে এককালীন ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া।

>> পরিবহন ধর্মঘটে স্থবির বন্দর, সবার দৃষ্টি ঢাকায় 
>> পরিবহন ধর্মঘট: চট্টগ্রাম বন্দরে অচলাবস্থা

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad