ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

‘মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাসের অংশ, চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
‘মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাসের অংশ, চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন’ বক্তব্য দেন মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

চট্টগ্রাম: বীর মুক্তিযোদ্ধারা ইতিহাসের অংশ, চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, আমরা কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা কখনো করিনি, আমরা জাতিকে দিতে চাই। এ মতাদর্শে যদি আমরা বিশ্বাসী হই তাহলে জাতি ও বাংলাদেশ শুদ্ধ হবে।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) নগরের টাইগারপাসে চসিকের সম্মেলন কক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম নগর ইউনিট কমান্ডের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা  বলেন।  

নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদের সভাপতিত্বে ও সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাসের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন ডেপুটি কমান্ডার মো. শহীদুল আলম চৌধুরী সৈয়দ, থানা কমান্ডারদের পক্ষে আকবরশাহ্ থানার মো. নুর উদ্দিন, প্রাতিষ্ঠানিক কমান্ডের পক্ষে অধ্যক্ষ মো. শামশুদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কায়কোবাদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পক্ষে চবি প্রভাষক ড. ওমর ফারুক রাসেল, স্মারকলিপি পাঠ করেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সদস্য সরওয়ার আলম মণি, নগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আহ্বায়ক শাহেদ মুরাদ সাকু, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আবু শহীদ মাহমুদ রনি।

মোনাজাত পরিচালনা করেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মো. খোরশেদ আলম।

মেয়র বলেন, বঙ্গবন্ধু ঘুমন্ত জাতিকে স্বাধীনতার মন্ত্র পড়িয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। সেই বঙ্গবন্ধুকে অস্বীকার করে যারা এদেশে রাজনীতি করে তাদের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করা প্রয়োজন। জিয়াউর রহমানের হাত ধরে পুর্নবাসিত স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতির ধারায় জাতির পিতাকে অস্বীকার করা হয়। এ ধারা যেন আর ফিরে আসতে না পারে এ জন্য বর্তমানে জীবিত মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মকে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় ভূমিকা রাখতে হবে।  

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আমরা একটি অসাম্প্রদায়িক, গনতান্ত্রিক ও আধুনিক রাষ্ট্র গড়ে তুলব, যেখানে সব মানুষের উন্নয়ন হবে। বাংলাদেশ ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত হবে। প্রধানমন্ত্রী আগে মানুষকে খাবার উপহার দিতেন, এখন তিনি গৃহহীনকে ঘর উপহার দিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের ফলে এদেশে শুধু মুক্তিযোদ্ধা নন, কোনো মানুষই গৃহহীন থাকবেন না।  

চট্টগ্রাম হচ্ছে বীর মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার। মুক্তিযুদ্ধকালীন এবং সুদূর স্বাধীনতা সংগ্রামের যে গৌরবগাথা আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে আছে তা ইতিহাস আকারে তুলে ধরে আগামী প্রজন্মকে ইতিহাস সম্পর্কে ঋদ্ধ করতে হবে।  

পতেঙ্গা বে-টার্মিনালের পাশে প্রস্তাবিত ওশান পার্কে একটি স্মৃতিসৌধসহ মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানান মেয়র।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।