ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

কর্ণফুলীর ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সাম্পান মাঝিদের ধর্মঘট 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
কর্ণফুলীর ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে সাম্পান মাঝিদের ধর্মঘট  বাংলাবাজার ঘাট থেকে দক্ষিণ পাড়ের যাত্রী পারাপার বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সাম্পান মাঝিরা।

চট্টগ্রাম: কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাট থেকে দক্ষিণ পাড়ের যাত্রী পারাপার বন্ধ রেখে আন্দোলন করছেন সাম্পান মাঝিরা।

সোমবারও (১৩ সেপ্টেম্বর) তারা সাম্পান বন্ধ রেখে আন্দোলন করেন।

এর আগে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে তারা যাত্রী নিয়ে সাম্পান চালানো বন্ধ রেখেছেন।

মাঝিদের অভিযোগ- চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঘাটটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু লোক দিয়ে জনপ্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে।

এ বিষয়ে সিটি মেয়রকে ১৫ দিন আগে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার কারণে তারা ধর্মঘটের ডাক দেন। দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাবাজার ঘাট থেকে সাম্পান চালানো বন্ধ রাখেন মাঝিরা।

চসিক ইজারা না দিলে একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে জনপ্রতি ২ টাকা করে টোল আদায় করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু চসিক তা না করে স্থানীয় লোক দিয়ে টোল আদায় করছে। তারা ২ টাকার স্থলে ৫ টাকা করে নিচ্ছে।

কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার সাম্পান কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা আলীউর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কর্ণফুলীতে যত ঘাট আছে, সব চসিক ইজারা দেয়, মাঝিরা নেয়। মাঝিরা যাত্রী প্রতি দুই টাকা করে চসিকের জন্য রাখে। আর যে ঘাটে টোল কম সে ঘাটে এক টাকা করে চসিককে দেয়। কিন্তু বাংলাবাজার ঘাটটি চসিক ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীকে দিয়ে দিয়েছে। তারা চাঁদা তুলে কিছু চসিককে দেয়। আর কিছু ওরা নেয়। এটি নিয়ে সরাসরি মেয়রকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। মেয়র সেটা পাসও করেছেন। এরপরও এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, ঘাটে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ইছানগর বাংলাবাজার ঘাটে সাম্পান মাঝিদের ধর্মঘট চলছে। আজকের মধ্যে সমাধান না হলে কাল সিটি করপোরেশন ঘেরাও করবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সভাপতি লোকমান দয়াল ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ।

ইছানগর বাংলাবাজার ঘাট সাম্পান মালিক সমিতির সভাপতি মো. লোকমান বাংলানিউজকে বলেন, ‘ঘাটটি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ইজারা না দিয়ে ২ টাকার বদলে ৫ টাকা আদায় করছে। এটি বন্ধ করার জন্য চসিককে চিঠি দিয়েছি। তবুও চসিক স্থানীয় লোক দিয়ে যাত্রী প্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। এটি বন্ধ করার জন্য মাঝিরা ধর্মঘট শুরু করেন। আমরা মনে করি, ঘাটটি ইজারা না দেওয়ার ক্ষেত্রে চসিকের নিজস্ব লোক জড়িত আছে। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২১
বিই/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।