ঢাকা, সোমবার, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১১ মহররম ১৪৪৭

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

৪২ বছর ধরে চলছে শামসুলের সংগ্রাম

সৈয়দ বাইজিদ ইমন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৪, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
৪২ বছর ধরে চলছে শামসুলের সংগ্রাম

চট্টগ্রাম: বুধবার সন্ধ্যা ছয়টা। নগরের মুরাদপুর মোড়।

পরিশ্রান্ত হাঁপাচ্ছেন এক বৃদ্ধ। নাম শামসুল হক।
বয়সের ভারে ভারাক্রান্ত শরীর যেন আর চলেনা। তার পরেও দীর্ঘ ৪২ বছর ধরে চালাচ্ছেন রিকশা। পরিবারের ঘানি টানতেই তার এ পরিশ্রম।  

শামসুলের স্ত্রী, এক মেয়ে ও দুই ছেলের সংসার। মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন, দুই ছেলে এখনও ছোট। তাই নিজেকে এখনও উপার্জন করতে হয়।  এ পরিশ্রম থেকে মুক্তি পেতে দারোয়ানের চাকুরি চাইলেন শামসুল। জীবনের বাকি সময় একটু বিশ্রামে কাটাতেন চান তিনি।

রিকশা চালাতে চালাতে কথা হয় প্রতিবেদকের সঙ্গে। তিনি জানান,  বৃদ্ধ বলে অনেকে রিকশায় চড়তে চান না। আগের মতো গাড়ি চালাতেও পারিনা। কষ্ট হলেও পরিবারের জন্য উপার্জন করতে হবে। না হলে উপোস থাকবে পরিবারকে।

বৃদ্ধ শামসুল হক ১৯৮৮ সাল থেকে চালাচ্ছেন রিকশা। নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার পশ্চিম চান্দুর গ্রামে জন্ম তার। চট্টগ্রামে আসার পর থেকে শিখেছেন আঞ্চলিক ভাষাও।  

শামসুল বলেন, দৈনিক ২৫০ টাকা আয় শামসুলের। এর মধ্যে ১০০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে বাকি টাকা পাঠাতে হয় বাড়িতে। গাড়ি চালাতে গিয়ে কাঁপুনি আসে। কিন্তু তবুও সকাল ৮ টায় বেরিয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত চালাতে হয়।  

এত বছর ধরে রিকশা চালালেও সরকারের কোনো তহবিল থেকে পান না সাহায্য সহযোগীতা।  

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, বয়স্ক ভাতার আমরা দিতে পারবো না। তবে, আর্থিক ও খাদ্য সহায়তা দিতে পারবো।  

তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা অসহায় দরিদ্র মানুষদের ত্রান ও আর্থিক সহায়তার আওতায় এনেছিলাম। এ কার্যক্রম আমাদের এখনো চলমান।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১ 
বিই/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।