ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ও স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে: মেয়র রেজাউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি ও স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে: মেয়র রেজাউল পাহাড়ধসের স্থান পরিদর্শন করেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী

চট্টগ্রাম: নগরের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণে পাহাড়ধস হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানি ঘটেনি উল্লেখ করে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, যেকোনো সময়ে বড় ধরনের বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে টাইগারপাসে বড় ধরনের পাহাড়ধসের ঘটনায় অনেক প্রাণহানি হয়েছিল।

 

তারপরও জনসচেতনতা আসেনি, মৃত্যুভয়কে পরোয়া না করে যারা পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে বসতি গড়েছেন তাদের স্বার্থেই এসব গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। বৈধ বা অবৈধ হোক পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ আবাসন, বসতি থাকতে দেওয়া হবে না।

জনস্বার্থে জানমাল রক্ষায় এসব বসতি ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।  

শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেলে লালখান বাজারের শাহ্ গরিবুল্লাহ্ হাউজিং ও কুসুমবাগ হাউজিং সোসাইটিতে ভারীবর্ষণে পাহাড়ধস কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে এ হুঁশিয়ারি দেন মেয়র।  

তিনি বলেন, নগরের পাহাড়গুলো বালুর। পাহাড়ের গাছপালা নিধন এবং লাগামহীন পাহাড়ের ভূমি কর্তনের ফলে এগুলো অরক্ষিত ও নড়বড়ে প্রায়। ভারী বর্ষায় অব্যাহত ঢলে প্রতিনিয়ত ভেঙে পড়ে। কারণ পাহাড় প্রকৃতিরই সম্পদ। তাকে লালন-পালন-ধারণ করতে পারিনি বলেই বারবার একই ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি ঘটছে।  

তিনি পাহাড়ধস রোধে নগরেরে সব পাহাড়ের গায়ে পরিকল্পিত রিটেইনিং দেয়াল নির্মাণের প্রস্তাব করে বলেন, এতে পাহাড়ের সুরক্ষা হবে এবং অতিবৃষ্টিতে পাহাড় থেকে মাটি নেমে খাল-নালা-নদর্মা ভরাট হওয়া বন্ধ হবে। প্রশাসনসহ নগর উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে পরিবেশ ও পাহাড় সুরক্ষায় সব ধরনের কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে।  

বিশেষ করে রিটেইনিং ওয়াল ছাড়া কোনো পাহাড়ের গায়ে বা পাদদেশে আবাসন ও স্থাপনা নির্মাণের নকশা অনুমোদন না করার জন্য সিডিএর প্রতি অনুরোধ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, অতিরিক্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

নগরের উত্তর পাহাড়তলী ওয়র্ডে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী ৮৫টি পরিবারের ২৫০ জন সদস্যকে ফিরোজ শাহ্ কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এ আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জহুরুল আলম জসিম গত চার দিন ধরে খাবার বিতরণ করে আসছেন। এ কার্যক্রমের আওতায় নাসিরাবাদ সরকারি মডেল স্কুলে আশ্রিত ৩০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

মেয়র অতি বৃষ্টিজনিত পাহাড়ধসের আশঙ্কা যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকজনকে খাদ্য সহায়তা দিতে স্থানীয় কাউন্সিলরদের নির্দেশনা দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।