ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে ১২৫ দশমিক ৬ মিমি বৃষ্টি, ভারীবর্ষণের শঙ্কা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
চট্টগ্রামে ১২৫ দশমিক ৬ মিমি বৃষ্টি, ভারীবর্ষণের শঙ্কা বহদ্দারহাট মোড়ের একটি গলিতে হাঁটুপানি। ছবি: বাংলানিউজ

চট্টগ্রাম: ভারী বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল ও জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে নগরের নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক, গোসাইলডাঙ্গা, বহদ্দারহাট, চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, মোহরা, হালিশহর, শান্তিবাগ আবাসিকসহ অনেক নিচু এলাকায় হাঁটুপানি জমে গেছে।

 

সাতকানিয়া, চন্দনাইশ, আনোয়ারা, রাউজানসহ বিভিন্ন উপজেলায়ও দেখা দিয়েছে বন্যা। এসব এলাকার পানিবন্দী মানুষকে উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

 

করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন এবং শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে নগরের সড়কে পথচারী, যানবাহন চলাচল কম থাকলেও দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার কারণে অনেকের বাসা-বাড়ির নিচতলা, গাড়ির গ্যারেজ, দোকানপাটে পানি উঠে গেছে। এসব এলাকায় যারা জুমার নামাজ, কাঁচাবাজার, বিভিন্ন হাসপাতালে থাকা রোগীকে দেখার উদ্দেশ্যে বেরিয়েছেন তারা দুর্ভোগে পড়েছেন।  

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা শেখ হারুন-অর-রশীদ বাংলানিউজকে জানান, শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১২৫ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোর সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে চট্টগ্রাম নদী বন্দরের জন্য ১ নম্বর নৌ সতর্কতা সংকেত রয়েছে।  
তিনি জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম ও পাশের এলাকাগুলোর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।

আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা খায়রুল আলম সুজন বাংলানিউজকে জানান, এক সপ্তাহ ধরে জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছি আমরা। আজও সড়কগুলো ১-২ ফুট পানির নিচে ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২১
এআর/টিসি
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।