চট্টগ্রাম: জরুরি প্রয়োজনে কঠোর লকডাউনে অনেকেই নেমেছেন পথে। কেউ যাচ্ছেন টিকা দিতে, কেউ ব্যাংকে আবার কেউ কর্মস্থলে।
মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) সরেজমিন এমন চিত্র দেখা গেছে বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা, কাজীর দেউড়িসহ প্রায় প্রতিটি মোড়ে। সোমবার ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৩১০ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত ও ১৮ জনের মৃত্যুর খবরে বেশিরভাগ যাত্রী, পথচারীর মধ্যে ছিল শঙ্কা। তবে মাস্ক না পরা উদাসীন মানুষের সংখ্যাও কম ছিল না।
কঠোর লকডাউন কার্যকরে নগর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ, সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)। সিটি করপোরেশন এলাকায় সিএনজি অটোরিকশাযোগে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সচেতনতামূলক মাইকিং করতে দেখা গেছে।
বহদ্দারহাটে রিকশার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আবদুল আজিজ। তিনি বলেন, অনেক রিকশা মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু ডাবল ভাড়ায়ও আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে যেতে চাইছে না। এদিকে যত দেরি হবে টিকার লাইনও লম্বা হয়ে যাচ্ছে।
কাজীর দেউড়ি থেকে নিউমার্কেট মোড়ের চসিক জেনারেল হাসপাতাল যাওয়ার জন্য রিকশাচালকের সঙ্গে দরদাম করছিলেন উম্মে সালমা। তিনি জানান, এতটুকুন পথ যেতে ৮০ টাকা চায়। স্বাভাবিক সময়ের ভাড়া ৩০ টাকা।
বেশি ভাড়া নেওয়া প্রসঙ্গে রিকশাচালক আহমদ হোসেন বলেন, যত রিকশা তত যাত্রী নেই। সমস্যা হচ্ছে চট্টগ্রাম শহরের সড়কগুলো উঁচু-নিচু। পাহাড় বেয়ে রিকশা চালানো অনেক কষ্টের। তাই ভাড়া একটু বেশি চাইছি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২১
এআর/টিসি