চট্টগ্রাম: খোকা, শেখ মুজিব, গণমানুষের শেখ মুজিব থেকে বাঙালি জাতির জনক ‘বঙ্গবন্ধু’ হওয়ার ঐতিহাসিক দিন ৬৯ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি।
দিনটি স্মরণে মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম-বৃহত্তর চট্টগ্রামের উদ্যোগে ‘শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভা মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের দোস্ত বিল্ডিং কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম এ সালাম। অ্যাডভোকেট সাইফুন্নাহার খুশীর সঞ্চালনায় অতিথি আলোচক ছিলেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দীন, জাসদ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম মন্টু, মহানগর সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী, নারীনেত্রী দিলোয়ারা ইউসুফ, ফোরকান উদ্দিন আহমেদ, চবি শিক্ষক ড. ওমর ফারুক রাসেল, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা গৌরীশংকর চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইফতেখার রাসেল, ডা. ফজলুল হক সিদ্দিকী, মো. নাজিম উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার পলাশ বড়ুয়া, কামাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট সৈকত দাশগুপ্ত, ডা. চন্দন দত্ত।
আলোচনায় অংশ নেন গিয়াস উদ্দিন, রাজীব চন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইয়াকুব মুন্না, নুরুল হুদা, মোস্তাফিজ বিপ্লব, কোহিনুর আকতার, নবী হোসেন সালাউদ্দিন, নাসির আলী পান্না, ডা. শওকত ইমরান, শীলা চৌধুরী, শামসুল আলম, হাছান মুরাদ, শফিকুর রহমান, সোহেল ইকবাল, আবদুর রহীম, নাসির উদ্দিন বিপ্লব, নুসরাত জাহান, ডা. আন্না বিশ্বাস, ইমরান সজল, আঁচল চক্রবর্তী প্রমুখ।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে প্রবন্ধ পাঠ করেন সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার।
প্রধান আলোচক এম এ সালাম বলেন, সুচিন্তিত গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় জনযুদ্ধের মাধ্যমে একটি জাতির স্বাধীনতা অর্জন ও দেশ সৃষ্টির অনবদ্য নজির স্থাপন করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। ছোট দেশের হয়েও সমকালীন বিশ্বে আজ অদ্বিতীয় জাতীয়তাবাদী নেতার আসনে অধিষ্ঠিত তিনি। বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধু নাম আজ সর্বজনীন ও সমাদৃত। তাঁর মতো সাহসী দূরদর্শী ত্যাগী নেতার আদর্শিক পথেই বাঙালি ও বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।
সভায় আলোচকরা বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক নেতাই উপাধি পেয়েছেন কিন্তু ফাঁসির মঞ্চ থেকে মুক্ত হয়ে জনসমুদ্রে গণমানুষের ভালোবাসায় কেউ সরাসরি উপাধিতে ভূষিত হননি। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রের বিশেষত্ব হচ্ছে তাঁর আপসহীন লড়াকু নেতৃত্ব এবং সুবিশাল হৃদয়। তাই ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধির পর তা শেখ মুজিব নামের মূল অংশ হয়ে গেছে।
সভায় ঐতিহাসিক এই দিনটিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে বঙ্গবন্ধু দিবস হিসেবে পালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
এসি/টিসি