ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

জেএম সেন ভবন ইতিহাসের অংশ: হানিফ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
জেএম সেন ভবন ইতিহাসের অংশ: হানিফ  সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মাহবুব-উল আলম হানিফ। ছবি: উজ্জ্বল ধর

চট্টগ্রাম: ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি বিজড়িত যাত্রামোহন (জেএম) সেনগুপ্তের বাড়িটি ঐতিহ্য ধারণ করে যাতে থাকতে পারে সে বিষয়ে সব রকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে বাড়িটি পরিদর্শনে এসে তিনি এ আশ্বাস দেন।

 

তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত আমাকে এখানে আসতে বলেছেন। উনার কাছ থেকে ভবনটির অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছি।

এখানে কোনো বক্তব্য দিতে আসিনি। দেখতে এসেছি। আমি শুধু একটি বিষয়ে আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, সেটা হলো যে এটি একটি ঐতিহাসিক ভবন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত আছে, ভবনটি ইতিহাসের অংশ।

ভবনটি কেন হঠাৎ করে এরকম হলো আমার জানা নেই। দেখলাম এখানে কতগুলো নোটিশ টাঙানো আছে আদালতের। এটুকু আশ্বস্ত করে যাচ্ছি বিষয়টা আজকে পুরোপুরি জানলাম। আজকেই জেলা প্রশাসককে বলব ঘটনাটি যথাযথভাবে দেখতে। কেন কী কারণে ঘটনাগুলো ঘটেছে এবং আইনসম্মত মিমাংসা সেটি দ্রুত যেন হয়। আশাকরি দ্রুত ঘটনাটি নিষ্পত্তি হবে। ভবনটি অতীত ঐতিহ্য ধারণ করে যাতে থাকতে পারে সে বিষয়ে আমাদের সহায়তা থাকবে।  

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।  

এর আগে হওয়া তাৎক্ষণিক অবস্থান কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, ভূমিদস্যুরা অপকৌশলে আদালতের একটি রায় এনেছে। জেলা প্রশাসন যেখানে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে এ সম্পত্তির কাস্টডিয়ান তাদের সেখানে পক্ষভুক্ত করা হয়নি। শিশুবাগকেও মামলায় প্রতিপক্ষ করা হয়নি। জেলা প্রশাসনের সম্পূর্ণ অগোচরে কীভাবে তারা এই মামলায় রায় পেল? সেদিন স্লোগান দিয়ে এই বাড়িটিতে হামলায় ভূমিদস্যুরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ১৯৭২ এ এভাবে দেশে বিভিন্ন স্থানে হামলা হয়েছিল।

আজ চট্টগ্রামে আমরা এ পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। ভবনটি ভাঙার দায়িত্ব তাদের দিল কে? সেদিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা সব পক্ষের সামনে বলেছে, আপনারা চলে যান আমরা তালা দিয়ে দেব। তখন আমি বলেছিলাম, এর দায়িত্ব স্থানীয় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনকে দিতে। প্রশাসন সম্মত হয়েছিল। আমরা চলে গিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনের হাতে চাবি আসেনি। কিন্তু দুষ্কৃতকারীরা এখানে এখনো থাকে। বাইরে থেকে তাদের জন্য খাবার আসে। পুলিশ তাদের বাধা দেয় না। ভেতরে তারা আলো আর সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছে। সেগুলো কীভাবে হচ্ছে। এই প্রশ্ন আপনাদের কাছে রেখে পুরো পরিস্থিতি জানিয়ে গেলাম।  

অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি তাপস হোড়, ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রাশেদ হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।