ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শিশু-কিশোর নিয়ে নির্বাচনী শোডাউন, আটকালেন ম্যাজিস্ট্রেট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
শিশু-কিশোর নিয়ে নির্বাচনী শোডাউন, আটকালেন ম্যাজিস্ট্রেট

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপির প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে শিশু-কিশোরদের নিয়ে নির্বাচনী মিছিল এবং মোটর শোভাযাত্রা করায় দুই বিএনপি নেতাকে সতর্ক করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াবাজার বিশ্বরোড এলাকায় শিশু-কিশোরদের নিয়ে নির্বাচনী মিছিল ও মোটর শোভাযাত্রা করায় কিং আলী এবং আবদুল কাদের নামে দুই বিএনপি নেতাকে সতর্ক করা হয়।

দুপুর ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালনে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, বিশ্বরোড এলাকায় একজন মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ৪টি ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান নিয়ে উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে এবং যানবাহনে পোস্টার লাগিয়ে কিং আলী ও আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ কর্মী শোডাউন করছিলেন।

এ সময় ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে বিপুল সংখ্যক শিশু-কিশোরদের সমাবেশ দেখা যায়।

মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, শোডাউন করার জন্য তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় বা থানা পুলিশের কোনো অনুমোদন ছিলো না। অনুমতি ছাড়া শোডাউন এবং শিশু-কিশোরদের নিয়ে মিছিল ও মোটর শোভাযাত্রা করায় তাদের আমরা আটকে দিই। শোডাউন বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই নেতাকে সতর্ক করা হয়।

এদিকে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শামসুল আলমের ছেলে মো. আজাদের নেতৃত্বে দলীয় মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের পক্ষে পাহাড়তলী ডিটি রোড এলাকায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় বা থানা পুলিশের অনুমতি ছাড়া মিছিল করার প্রমাণ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। তাদের সতর্ক করে মিছিল ভেঙে দেওয়া হয়।

এছাড়া ২৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী ফারহানা জাবেদের কর্মীরা অনুমোদন ছাড়া মাইক দিয়ে প্রচার কার্যক্রম পরিচালানা এবং সিএনজি অটোরিকশায় পোস্টার সাঁটানোর দায়ে তার কর্মীদের সতর্ক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

নগরের ১৬, ২০ ও ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুজন চন্দ্র রায়। তিনি মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরীর কর্মীরা মাইক দিয়ে প্রচার কার্যক্রম পরিচালানা এবং সিএনজি অটোরিকশায় পোস্টার সাঁটানোর দায়ে প্রার্থীর কর্মী সেলিমুল্লাহকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।  

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুস সামাদ শিকদার ২৭, ৩৭ ও ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তিনি দেয়ালে পোস্টার সাঁটানোর দায়ে একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।  

১৪, ১৫ ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম আলমগীর। তিনি মেয়র প্রার্থীর সাথে কাউন্সিলর প্রার্থীর যৌথভাবে ব্যানার ব্যবহার করায় ব্যানারটি নামাতে এবং নির্বাচনী কার্যালয়ে টিভি ব্যবহার করায় তা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক ৩৩, ৩৪ ও ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নুরুল হকের বিরুদ্ধে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রকাশ্যে হুমকির অভিযোগ দেওয়ায় তিনি নুরুল হককে মৌখিকভাবে সতর্ক করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান ১১, ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। আর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা ৭ ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তবে এসব এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২১
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।