চট্টগ্রাম: তথ্য গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করায় এক ছাত্রলীগ নেতার দায়ের করা প্রতারণার মামলায় শামীমা আকতার মুক্তা নামের এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে বাংলানিউজকে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী আইয়ূব খান।
অ্যাডভোকেট আইয়ূব খান বলেন, তথ্য গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ে করায় শামীমা আকতার মুক্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছিল। শামীমা আকতার মুক্তার প্রথম স্বামী থাকা অবস্থায় নিজেকে কুমারি পরিচয় দিয়ে আরও একাধিক বিয়ে করেন।
তিনি বলেন, মামলাটি তদন্ত করে পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়ার পর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। মঙ্গলবার শামীমা আকতার মুক্তাকে গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় আসামি পক্ষ জামিন আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে নগরের দামপাড়া এলাকা থেকে শামীমা আক্তার মুক্তাকে গ্রেফতার করে চকবাজার থানা পুলিশ। চকবাজার থানার উপ-পরিদর্শক এসআই রাজীব পাল বাংলানিউজকে বলেন, শামীমা আকতার মুক্তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করেছিলাম।
আকিবুল ইসলাম আকিবের আদালতে দায়ের করা মামলায় (সিআর: ২৩৪/২০) অভিযোগ করা হয়েছে, ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শামীমা আক্তার মুক্তা আকিবুল ইসলাম আকিবকে বিয়ে করেন। বিয়ের সময় কাবিননামায় নিজেকে অবিবাহিত হিসেবে পরিচয় দেন শামীমা আক্তার মুক্তা। অথচ তার স্বামী ও দুই সন্তান রয়েছে। শামীমা আক্তার মুক্তা এর আগে আইয়ুব নামের এক ব্যবসায়ীকেও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেন। আইয়ুবের কাছ থেকে নারী নির্যাতন মামলার ভয় দেখিয়ে তালাক নেন এবং কাবিনের টাকা আদায় করেন। শামীমা আক্তার মুক্তা প্রতারণার এসব ফাঁদ পাতেন তার প্রথম স্বামী লোকমান হোসেনকে নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০২০
এসকে/টিসি