চট্টগ্রাম: সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বন্দরে ২২টি চালানে পেঁয়াজ নেমেছে ১ হাজার ২৭২ টন। এর মধ্যে ৫৮ টন করে ৩টি পেঁয়াজের চালান এসেছে চীন থেকে।
সরেজমিন নগরের কোতোয়ালী থানাধীন মোমিন রোডের শরীফ স্টোরে শুক্রবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে বিক্রি হতে দেখা গেছে বড় বড় পেঁয়াজ। ৭-৮টি পেঁয়াজে ১ কেজি। দামও দেশি বা মিয়ানমারের পেঁয়াজের চেয়ে ৫-১০ টাকা কম। প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ খুচরায় বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯৫ টাকা পর্যন্ত। সোনালি রঙের ছোট ছোট সুন্দর পেঁয়াজগুলো ঝাঁজ বেশি হওয়ায় ক্রেতারা বেশি পছন্দ করছেন।
খাতুনগঞ্জের সবচেয়ে বড় পেঁয়াজের পাইকারি বিপণিকেন্দ্র হামিদুল্লাহ মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার পেঁয়াজের আড়তে দামের তেজিভাব ছিল না। পাকিস্তানি পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে। আগামী সপ্তাহে চীন, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের পেঁয়াজ নিয়মিত বন্দর থেকে খালাস হবে আশাকরি।
তিনি জানান, প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৮০-৮২ টাকায় নেমে এসেছে। পাকিস্তানি পেঁয়াজ ৬৫-৬৭ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০ টাকা বিক্রি হয়েছে।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বুলবুল বাংলানিউজকে বলেন, বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে আসা ২ হাজার ৫০২ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু করেছি আমরা। এর মধ্যে শুধু বৃহস্পতিবারই পাকিস্তান ও চীন থেকে আসা ২২টি চালানের ১ হাজার ২৭২ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র দিয়েছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এসব চালানের মধ্যে ২৯ টন, ৫৮ টন, ১১৬ টন থেকে শুরু করে ১৪৫ টন পর্যন্ত পেঁয়াজ এসেছে। এত দিন মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকেই সমুদ্রপথে পেঁয়াজ এলেও বৃহস্পতিবারই প্রথম চীন থেকে ৫৮ টনের ৩টি চালান আসে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে ৩৭৭টি আমদানি অনুমতিপত্রের (আইপি) বিপরীতে ১ লাখ ৭১ হাজার ১২৭ টন পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চীন, মিশর, তুরস্ক, মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, মালয়েশিয়া, সাউথ আফ্রিকা, ইউক্রেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), ভারত (২০০ টন) ও পাকিস্তান থেকে এসব পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নিয়েছেন তারা।
>> পেঁয়াজ এলো চট্টগ্রাম বন্দরে
>> বন্দরে আসা ১০০৬ টন পেঁয়াজের ছাড়পত্র ইস্যু
>> বেপারীরা খবর নিচ্ছেন জাহাজের, টিসিবির ট্রাকে দেশি পেঁয়াজ
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০২০
এআর/টিসি