চট্টগ্রাম: তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবন ও কর্ম তুলে ধরতে তার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে দৃষ্টি চট্টগ্রাম, আইডিয়া কোড ও আর ডব্লিউ ওয়েল ফেয়ার সোসাইটির (আরডব্লিউডব্লিউএস) আয়োজনে কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) কুইজ প্রতিযোগিতার ভার্চুয়াল আলোচনা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কুইজ প্রতিযোগিতার সমন্বয়ক সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল হক ডিউকের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল আলোচনায় যুক্ত ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আবদুর নূর তুষার, ইস্ট ডেলটা ইউনিভার্সিটির স্কুল অব সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. নাজিম উদ্দিন, দৃষ্টি চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মাসুদ বকুল, সাধারণ সম্পাদক সাবের শাহ, চট্টগ্রাম আইন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান মাসুদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক রায়হান মাহমুদ শুভ।
আলোচনায় আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ১৯৮১ সাল থেকে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, এরপর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের ঐতিহাসিক নির্বাচনে চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বেই ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি টানা দ্বিতীয়বার এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
নাছির বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সৎ ও সাহসী নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বে আজ অনন্য উচ্চতায় অবস্থান করছে। এই অঞ্চলে গণতন্ত্র, শান্তি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নারী শিক্ষার বিস্তার, শিশুমৃত্যুর হার হ্রাস ও দারিদ্য বিমোচনের সংগ্রামে অসামান্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বজনীন এক ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন। তরণ প্রজন্মের কাছে প্রধানমন্ত্রীকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে, তার জীবন ও কর্ম তুলে ধরার মধ্য দিয়ে প্রজন্ম সমাজ খুঁজে পাবে এক জীবন্ত কিংবদন্তীকে। ’
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম মহানগীর ৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩ হাজার ৭৭৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্য থেকে ১২ জনকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২০
এমআর/টিসি