চট্টগ্রাম: দেশের সবচেয়ে বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের একটি আড়তে টাঙানো মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হামিদুল্লাহ মার্কেটের পেঁয়াজের আড়ত পরিদর্শনকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মূল্য তালিকার সঙ্গে দামের হেরফেরের বিষয়টি দেখতে পান।
অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, আল আরাফাত ট্রেডার্সে পেঁয়াজের দর লেখা ছিল ৬৫ টাকা, কিন্তু বিক্রি করছিল ৬৯ টাকা। পাইকারি বাজারে যদি চার টাকা বেশি নেওয়া হয় খুচরা পর্যায়ে তা আরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
পরিদর্শনকালে পেঁয়াজের মজুদ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক মুনাফা করতে, পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য বেচাকেনার সঠিক রশিদ সংরক্ষণ ও দিতে এবং হালনাগাদ মূল্য তালিকা প্রদর্শন করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ও এপিবিএন-৯ এর সহায়তায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) পাপীয়া সুলতানা লীজা ও মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
অভিযানকালে বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে প্রদর্শিত মূল্য তালিকার চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ৩ হাজার টাকা, নিলয় এন্টারপ্রাইজকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৩ হাজার টাকা, বহদ্দারহাট সিটি করপোরেশন মার্কেটের আনসারি ব্রাদার্সকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও অননুমোদিত রং সংরক্ষণ করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এনামুল হক সওদাগরের মাংসের দোকানকে মাংসে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রং সংরক্ষণ করায় ২ হাজার টাকা জরিমানাসহ সতর্ক করা হয়।
চান্দগাঁও আবাসিকের সানোয়ার স্টোরকে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণ ও অননুমোদিত রং সংরক্ষণ করায় ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ বর্ণিত রং ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য ধ্বংস করা হয়। কি-ফুড ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ও অননুমোদিত পণ্য রাখায় ৫ হাজার টাকা ও জাওয়াদ স্টোরকে উৎপাদন-মেয়াদবিহীন পণ্য সংরক্ষণ ও নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
জনস্বার্থে বাজার তদারকি ও পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান মুহাম্মাদ হাসানুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০
এআর/টিসি