ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

মূসক আদায়ে ২০টি ইসিআর মেশিন চালু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
মূসক আদায়ে ২০টি ইসিআর মেশিন চালু বক্তব্য দেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার এনামুল হক।

চট্টগ্রাম: মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আদায়ের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে ২০টি ইসিআর মেশিন নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে কর্মক্ষমতা নিরূপণে চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার এনামুল হক।  

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে চিটাগাং মেট্রোপলিটন শপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।

এনামুল হক বলেন, মূসক প্রদানের ব্যাপক আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও এ আইনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অস্পষ্টতা আছে বলে জানান।

তিনি দেশ গঠন ও সমৃদ্ধকরণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভ্যাট দেওয়ার আহ্বান জানান।

কমিশনার চট্টগ্রামের প্রতিটি ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যদের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ভ্যাট নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিলের দায়িত্ব নেওয়ার অনুরোধ জানান।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি সালেহ আহমেদ সুলেমান, টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ওসমান গণি চৌধুরী, চিটাগাং ডেকোরেশন মালিক সমিতির সভাপতি  মো. সাহাবউদ্দিন, আখতারুজ্জামান সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন, চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ সরঞ্জাম ব্যবসায়ী গ্রুপের সিনিয়র সহ-সভাপতি কুতুব উদ্দিন প্রমুখ।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার এনামুল হককে স্মারক উপহার দেন অহীদ সিরাজ চৌধুরী স্বপনব্যবসায়িক লেনদেনের বিভিন্ন স্তরে মূসকের হিসাব সম্পর্কিত তথ্যচিত্র উপস্থাপন করেন কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত কমিশনার মাহবুবুর রহমান।

হয়রানি ছাড়া ভ্যাট দিতে চাই: মাহবুব

উদ্বোধকের বক্তব্যে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা সবসময় নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করতে চান। ২০১৭ সালে সরকার আইন পাসকরেছিল। কিন্তু আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বোঝাতে সক্ষম হই যে, পর্যাপ্ত ইসিআর মেশিন আমদানিসহ সার্বিকভাবে এ আইন বাস্তবায়নের প্রস্তুতি পর্যাপ্ত নয়। প্রধানমন্ত্রী আমাদের অনুরোধে দুই বছরের জন্য এ আইন তখন স্থগিত করেন। আমরা কোনো ধরনের হয়রানি ছাড়া ভ্যাট দিতে চাই।

ভ্যাটের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কিছু আপত্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৫ বছরের পুরনো হিসাবের ওপর নতুন করে ভ্যাট নির্ধারণ সম্ভব নয়। অনেক ক্ষেত্রে লৌহজাত ইত্যাদি পণ্য আমদানি পর্যায়ে ট্যাক্স ভ্যাট দেওয়ার পরও বাজারে বিক্রির সময় আবার ভ্যাট ট্যাক্স দিতে হয়। এ বিষয়গুলো সুচারুরূপে সমাধান করা প্রয়োজন। ভারত, পাকিস্তানের জিডিপি যেখানে ৫ শতাংশের নিচে সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের বেশি, যা সত্যিই বিস্ময়কর।

‘ব্যবসায়ী বাঁচলে দেশ বাঁচবে’ এ স্লোগান সামনে রেখে একসঙ্গে ইতিবাচকভাবে কাজ করলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চেম্বার সভাপতি ভ্যাট ও ট্যাক্স সংক্রান্ত বিষয়ে ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে চেম্বারে একটি হেল্প ডেস্ক চালু করা হবে বলে জানান।     

বাংলাদেশ সময়:  ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।