শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় সিটি মেয়র পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে গিয়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামশুদ্দোহা, কাউন্সিলর সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সিটি মেয়র বলেন, বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করতে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। মেধাবী সন্তানদের হত্যা করাই বর্বর পাকিস্তানী এবং তাদের দোসরদের প্রধান লক্ষ্য ছিল।
মেয়র বলেন, ২১ বছর পর মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনা করতে থাকে। ফলে এ প্রজন্মের সন্তানেরা মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানতে ও শিখতে শুরু করে। ফলে সবক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। বাংলাদেশ এখন স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের বছর। বাংলাদেশকে ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত উন্নত দেশে পরিণত করার দায়িত্ব হচ্ছে এ প্রজন্মের সন্তানদের। এসময় তিনি ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির মাধ্যমে চিহ্নিত মহানগরের ৬১টি বধ্যভূমি সংরক্ষণে করপোরেশনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার কথাও জানান।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকালে থিয়েটার ইনস্টিটিউট চত্বরে জমায়েত শেষে মহানগর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে সকালে প্রেস ক্লাব ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বৃহত্তর চট্টগ্রামের উদ্যোগে বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে আলোক প্রজ্বলন ও আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে। থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিকাল সাড়ে ৫টায় আয়োজন করা হয়েছে দৃষ্টি চট্টগ্রামের ‘মুক্তির কথা শুনি’। সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয় প্রাঙ্গণে কালো পতাকা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে ১ মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শামীম হাসান। পরে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিচারণ করে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘন্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এসি/টিসি