বুধবার (১১ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন।
বাদশা খালেদ লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সুখছড়ী এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে।
অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙিয়ে লোহাগাড়ায় অপকর্ম করে যাচ্ছেন বাদশা খালেদ।
মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করেন, আমিরাবাদের হাজারবিঘা গ্রামে গত ১৫ দিন ধরে বাদশা খালেদ এক মুক্তিযোদ্ধারসহ ২০টি সংখ্যালঘু পরিবারের আবাদী জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। তার সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রের মহড়া দিয়ে প্রকাশ্যে মানুষের জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছেন। তার ভয়ে এলাকাবাসী কোন প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। সম্প্রতি অবৈধ বালু উত্তোলন ও মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে তার বাহিনীর হামলার শিকার হন উপজেলা ভূমি অফিসের দুই কর্মকর্তা।
এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের কাছে জিম্মি হওয়ার জন্য কি দেশ স্বাধীন করেছি? তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছে না। তার খুঁটির জোর কোথায়?
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তাপসী দাশ, স্থানীয় ব্যবসায়ী নিখিল দাশ, মোহাম্মদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বাদশা খালেদ বাংলানিউজকে বলেন, রাজনৈতিক প্রতি হিংসা পরায়ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে তারা অভিযোগ করছে। যেসব অভিযোগ তারা করেছেন তা সত্য নয়। আমি বালু মহালের ইজারাদার নই।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা মো. দেলোয়ার হোসেনকে চিনেন না এবং কখনও দেখেননি বলে দাবি করেন যুবলীগ নেতা পরিচয়দানকারী বাদশা খালেদ।
বাদশা খালেদ লোহাগাড়া বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বাপ্পী হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। এছাড়া বাদশা খালেদের বিরুদ্ধে হত্যা, মারধরসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯
এসকে/টিসি