সিডিএ সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত নকশা অনুমোদন দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো দুই হাজার ৩০০টি, অনুমোদন হয়েছে দুই হাজার ২৫০টি। এ ছাড়া ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো দুই হাজার ৫০০টি, দেওয়া হয়েছে দুই হাজার ৩১৬টি।
চলতি বছর মে মাসে অনলাইনে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদন প্রক্রিয়ার অটোমেশন কার্যক্রম চালু করে সিডিএ। এরপর থেকে ভবন নির্মাণ অনুমোদন প্রক্রিয়ায় গতি বেড়েছে।
এদিকে অটোমেশন চালুর ফলে ফলে গ্রাহকরা সিডিএতে না গিয়ে ঘরে বসে অনলাইনে ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও ভবন নির্মাণ অনুমোদনের আবেদন করতে পারছেন।
এ ছাড়া বর্তমানে চার ধাপে অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে। আগে ধাপ বেশি ছিলো। এখন ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্রের জন্য ১৫ দিন, নির্মাণ অনুমোদনের জন্য ২৫ দিন ও ভেরিফিকেশনের ৩ দিনসহ মোট ৩৮ দিন সময় লাগছে।
আগে আবেদনের পর নথির অবস্থান কোন পর্যায়ে আছে তা গ্রাহকেরা সিডিএ গিয়ে খোঁজ নিতো, এখন নথির অবস্থান এসএমএস কিংবা ইমেইলের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি আবেদন প্রক্রিয়ায় ভুল-ত্রুটি থাকলে সংশোধনের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া আবেদনের কাগজপত্রের হার্ড কপি সিডিএতে জমা দেয়ার বিপরীতে সফট কপি অনলাইনেই জমা দিলে হচ্ছে।
সিডিএ অথরাইডজ বিভাগ নকশা অনুমোদন ও পরিকল্পনা বিভাগ ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র দেয়।
সিডিএ প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহীনুল ইসলাম খান বাংলানিউজকে বলেন, অটোমেশন চালুর পর দ্রুত ছাড়পত্র অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।
‘এখন অনলাইনে সবকিছু হচ্ছে, ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজগুলো হয়ে যাচ্ছে। এজন্য কাজের গতি বেড়েছে। ’
তিনি আরও বলেন, মানুষ যাতে সহজে সেবা পান, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। সেবা আরও আধুনিকরণের পথে এগুচ্ছে সিডিএ।
অথরাইডজ কর্মকর্তা ও নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর হাসান বাংলানিউজকে বলেন, আগে সিডিএতে এসে নকশা অনুমোদন আবেদন করতো গ্রাহকরা। তখন বিভিন্ন ঝামেলায় পড়তেন তারা। অটোমেশন চালুর ফলে সেই ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন গ্রাহকরা। ফলে সহজে নকশা ও ভূমি ব্যবহার অনুমোদন মিলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এসইউ/টিসি