ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

শাহ আমানতে কার্গো জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২১৬ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০১৯
শাহ আমানতে কার্গো জালিয়াতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

চট্টগ্রাম: শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুল্ক পরিশোধ ছাড়াই কর্তৃপক্ষকে অন্ধকারে রেখে ১৬টি চালান খালাসের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।

কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে কিংবা দায়িত্বে অবহেলার সুযোগে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়াটারওয়েজ শিপিং লাইন্স লিমিটেড এ জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম।

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কেন্দ্রীয় সফটওয়্যার অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ডে ইনপুট ও রাজস্ব জমা না দিয়ে খালাস নেওয়া ১২টি চালানের তদন্তকালে এ ধরনের ১৬টি চালান পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদনে চিহ্নিত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, কাস্টম হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কাস্টম আইনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তদন্ত কর্মকর্তাদের সুপারিশ অনুযায়ী ধাপে ধাপে কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানিয়ে কাস্টম কমিশনার বলেন, অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ডের সংযোগসহ পণ্য খালাসের মূল ফটকে একটি কম্পিউটার বসানো হবে। ইতিমধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। দায়ী সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কাস্টম সূত্রে জানা গেছে, ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে ব্যাপারে কাস্টম হাউস কর্তৃপক্ষ দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। বিশেষ করে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল, দোষী কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্তসহ ফৌজদারি মামলা করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

বিমানবন্দরে কার্গো চালান জালিয়াতির ঘটনায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার কাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যসচিব করা হয় সহকারী কমিশনার আমিনুল ইসলামকে। সদস্য ছিলেন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা প্রসাদ কুমার মণ্ডল। ১০ কার্যদিবস তদন্ত শেষে এ কমিটি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারকে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

কমিটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ওয়াটারওয়েজের ২০১৮ সালের খালাস নেওয়া চালানগুলো পর্যালোচনা করে। বিশেষ করে পণ্য পরীক্ষা না করা, শুল্কায়ন না করা, রাজস্ব জমা না দেওয়া, রিলিজ অর্ডার ইস্যু হয়েছে কিনা, জালিয়াতির সঙ্গে কাস্টম হাউস, সিভিল এভিয়েশন বা বিমানের কোনো কর্মী জড়িত কিনা, এ ধরনের অনিয়ম প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণে সুপারিশ ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করে কমিটি।

বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।