বাঁশখালীর কালীপুর, বৈলছড়ি, গুণাগরি, পুকুরিয়া, জলদি, জঙ্গল চাম্বল পুঁইছড়িসহ কয়েকটি ইউনিয়নে পাহাড়ি ও সমতল এলাকায় লিচুর চাষ হয়। এ বছর ৫০০-৫৫০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাণিজ্যিক চাষ হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম।
তবে লিচুর বাম্পার ফলন হলেও এখানে আকারভেদে ১০০টি লিচু বিক্রি হয়েছে ৩০০-৪০০ টাকায়। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বাঁশখালীর লিচু বিক্রি হচ্ছে প্রতি শ’ ২০০-২৫০ টাকায়।
রাঙামাটির মিষ্টি জাতের রসালো লিচুও মিলছে চট্টগ্রামের বাজারে। চলতি বছর এই পাহাড়ী জেলার ১ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে হেক্টর প্রতি ৮.৫ মেট্রিক টন লিচু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পবন কান্তি চাকমা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে এসেছে চায়না-২, চায়না-৩ ও বোম্বে জাতের লিচু। রসালো ফরমালিনমুক্ত পাহাড়ের লিচু বাজারজাত হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
চট্টগ্রামের বাজারে ১০০টি লিচু আকার ও মানভেদে ২শ’ থেকে সাড়ে ৩শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভালো ফলন হলেও স্থানীয় বাজার থেকে জেলার বাইরে লিচু সরবরাহে পরিবহন খরচ সহ আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে।
বাঁশখালীর ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ জানান, ভালো ফলন হওয়ায় একেকটি লিচু বাগান এক থেকে দেড় লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাইকারদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে বাঁশখালীর লিচু।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
এসি/টিসি