শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সকালে হাটহাজারী উপজেলার ২ নম্বর ধলই ইউনিয়ন পরিষদের মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেন তিনি।
ফটিকছড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার সময় এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
ধলই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আলমগীর জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগ নেতা এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, সংস্কৃত বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব অসীম কুমার দে, আশুতোষ দে, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুরুল আলম, এসএম নোমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান মাহবুব, ছাত্রলীগ নেতা আলী আব্রাহা দুলাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, ‘চট্টগ্রাম-নাজিরহাট ট্রেন চলাচলে ঐতিহ্যবাহী রুট হিসেবে পরিচিত।
তিনি বলেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, একসময় এ রুটে পাঁচ জোড়া ট্রেন চলাচল করত। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই সংখ্যা কমে আসছে। রেলসেবা বাড়ানোর লক্ষ্যে এই রুটে ট্রেন সংখ্যা আরও বাড়াব। একই সঙ্গে কাটিরহাট জরাজীর্ণ রেলস্টেশনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। ’
বেসরকারিভাবে কেউ ১৫ গণ্ডা জায়গা দিতে পারলে হাটহাজারী ইউনিয়ন কমপ্লেক্স করে দেওয়ার জন্য সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
রেল মন্ত্রী বলেন, ‘১৯৩০ সাল থেকে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ১৯৮০ সালের দিকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তৎকালীন সরকার চেষ্টা করে। কিন্তু এলাকার জনগণের দাবির মুখে পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেনি। তবে ওই সময় সরকার ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেয়। ’
‘বর্তমানে যাত্রী সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এই রুটে। ট্রেনে যাত্রীর আগ্রহও বাড়ছে। এই জন্য স্থানীয়দের পক্ষ থেকে নয়টা ট্রেন দেওয়ার জন্য দাবি জানান আমার কাছে। এরই অংশ হিসেবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগরই এই রুটে নতুন ট্রেন যুক্ত হবে। ’ বলেন রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমইউ/জেইউ/টিসি