ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সৌমিক হলো সৌমিশ, কাজী হলো শাজী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০১৭
সৌমিক হলো সৌমিশ, কাজী হলো শাজী

চট্টগ্রাম: ‘কাজী ফাইয়াজ নাবিল’ (রোল নম্বর ৫৮৯৪)। নগরীর সেন্ট প্লাসিডস হাই স্কুলের ছাত্র। তার নাম লেখা হয়েছে ‘শাজী ফাইয়াজ নাবিল’। তার পিতা ‘কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী’ এর স্থানে লেখা হয়েছে ‘শাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী’। একই স্কুলের শিক্ষার্থী ‘সৌমিক মল্লিক’ (রোল নম্বর ৫৮৮৯)। তার নামে লেখা হয়েছে ‘সৌমিশ মল্লিশ’। তার পিতা ‘উদয় মল্লিক’ এর স্থানে লেখা হয়েছে ‘উদয় মল্লিশ’। তার মাতা ‘রুপশ্রী মল্লিক’ এর স্থানে লেখা হয়েছে ‘রুপশ্রী মল্লিশ’।    

গত ২৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষার ফলাফল তালিকায় এ নামের বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ফলাফল তালিকায় এ চিত্র দেখা গেছে।
এতে চরম বিভ্রান্তি ও ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাকরা। চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালী থানাধীন প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের শিক্ষার্থী, ও মা-বাবার নামের ‘ক’ বর্ণটির স্থলে পরিবর্তন হয়ে ‘শ’ লেখা আসছে।
 
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে চট্টগ্রাম জেলার কোতোয়ালী শিক্ষা থানার অধীনে ৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৭ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল যাচাই করে নাম ভুলের প্রমাণ পাওয়া গেছে। নগরের কোতোয়ালী থানাধীন ৩০টি বিদ্যালয়ে মোট ৬ হাজার ৮৩৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। নামের ভুলের কারণে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির ক্ষেত্রে কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে কি না; এ নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকেরা।
 
এই বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানা শিক্ষা কর্মকর্তা রূপাঞ্জলী কর বাংলানিউজকে বলেন, ওয়েবসাইটে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নামের ক্ষেত্রে কিছু বানান ভুল হয়েছে। ক হয়ে গেছে শ, আবার কোন ক্ষেত্রে যুক্তবর্ণের ক্ষেত্রে কিছু বানান ভুল হয়েছে। কয়েকটি স্কুল প্রধানের কাছে অভিভাবকেরা নামের ভুল হওয়ার অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
 
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dpe.gov.bd) খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নগরীর সরকারি ন্যাশনাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ‘সুরাইয়া আক্তার সাদিয়া’ (রোল নম্বর ৪০০০) এর মাতা ‘রোকসানা বেগম’ এর স্থানে লেখা হয়েছে ‘রোশসানা বেগম’।
 
সিএন্ডবি কলোনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ‘ওয়াছিকা রহমান’ (রোল নম্বর ৩২৪৪)। এর নাম লেখা আছে ‘ওয়াছিশা রহমান’। তার পিতা ‘মো. মাকছুদুর রহমান’ এর স্থানে লেখা হয়েছে ‘মো. মাশছুদুর রহমান’।
 
বাগমনিরাম এ এস বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ‘কামরুল মোল্লা’র (রোল নম্বর ৩) নাম লেখা হয়েছে ‘শামরুল মোল্লা’। তার পিতা ‘কামাল মোল্লা’র স্থানে লেখা হয়েছে ‘শামাল মোল্লা’।
 
মিউনিসিপ্যাল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ‘মো. রাকিবুল ইসলাম’ (রোল নম্বর ৫৫০০) এর নামে লেখা হয়েছে ‘মো. রাশিবুল ইসলাম’। তার পিতা ‘মো. জলিল ফকির’ এর স্থানে লেখা হয়েছে ‘মো. জলিল ফশির’।
 
এনায়েত বাজার এবাদুল্লা পন্ডিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ‘মো. জিদান হোসেন’র (রোল নম্বর ৪৫০০) মাতা ‘নাসিমা আকতার’ এর স্থানে লেখা হয়েছে ‘নাসিমা আশতার’।
 
তবে বিষয়টি আমলে নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাছরিন সুলতানা বাংলানিউজকে বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীর ফলাফলের তালিকায় কিছু শিক্ষার্থীর নামের বানান ভুল হয়েছে। তা আমরা অবহিত হয়েছি। ওয়েবসাইটে এ ভুল হয়েছে। সংশ্লিষ্ট থানা প্রাথমিক শিক্ষা  কর্মকতাদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময় : ১৭০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারী ৫, ২০১৭
এসবি/টিসি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।