ঢাকা, বুধবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনাস্থল দেখল ময়নাতদন্তকারী টিম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৭
দিয়াজের মৃত্যুর ঘটনাস্থল দেখল ময়নাতদন্তকারী টিম দিয়াজের মরদেহ যে কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয় সেখানে চিকিৎসক দলের অনুসন্ধান। ছবি সোহলে সরওয়ার, বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বাসায় এসে তথ্য নিয়ে গেলেন মরদেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক টিম।

এর আগে রোববার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা দিয়াজের বাসায় এসে পৌঁছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প‌্রধান চিকিৎসক সোহেল মাহমুদের সাথে আরও সাতজন চিকিত্সক ছিলেন।

এ সময় দিয়াজের মামলার দায়িত্বে থাকা  সিআইডির চট্টগ‌্রাম জোনের এএসপি অহিদুর রহমান ছাড়াও হাটহাজারী থানার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিন সকাল ১০টা ৪৫ দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দুই নম্বর গেটে অবস্থিত দিয়াজের বাসায় যান ঢাকা মেডিকেলের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক টিম।

পরে তারা দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মরদেহ যে কক্ষ থেকে নামানো হয় সেখানে খতিয়ে দেখেন।  ঘটনাস্থলে খাট ও ফ্যানের দূরত্বও নির্ণয় করেন। দিয়াজের বাসায় ময়নাতদন্তকারী দল

দিয়াজের রুমের আশেপাশের ভাঙা গ্লাস ও ব্যালকনির দরজাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ক্রাইম সিনের ছবি তুলে নমুনা সংগ্রহ করেন মেডিকেল টিম। পরে দিয়াজের মরদেহ নামানোর সময় উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়া দিয়াজের মা জাহেদা আমিন চৌধুরী, বড় বোন অ্যাডভোকেট জুবাঈদা ছরওয়ার চৌধুরী নিপা ও দিয়াজের ভগ্নিপতি সরওয়ার আলমের সাথে এই্ বিষয়ে কথা বলে তথ্য নেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প‌্রধান চিকিৎসক সোহেল মাহমুদসহ আরও সাত চিকিত্সক।

প্রায় দেড় ঘণ্টা দিয়াজের বাসা থেকে তথ্য নেয়ার পর দুপুর পৌনে একটার দিকে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প‌্রধান চিকিৎসক সোহেল মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘আদালতের আদেশে আমিসহ ঢাকা মেডিকেলে কলেজের ফরেনসিক বিভাগের মেডিকেল টিম দিয়াজের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করি। ময়নাতদন্ত করার পরে আমাদের কাছে মনে হয়েছে আরও কিছু তথ্য দরকার। সে তথ্যগুলা সংগ্রহ করার জন্য আমরা দিয়াজের বাসায় এসেছি। যে রুমে দিয়াজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে আমরা পরিদর্শন করেছি। পরিদর্শন করে পারিপার্শ্বিক তথ্যগুলো নিয়েছি। পাশাপাশি আমরা কিছু ছবি কালেকশন করেছি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা প্রথম দিয়াজের মরদেহ প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের সাক্ষ্য নিছি। পরে আমরা উপজেলা নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট যিনি প্রথম সুরতহাল করেছেন তার সাক্ষ্য নিব। তারপর দিয়াজের প্রথম ময়নাতদন্ত যারা করেছেন তাদের সঙ্গেও আমরা কথা বলব। ’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘আত্মহত্যা না হত্যা সেটি এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না। এখানকার তথ্য ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা বসে পর্যালোচনা করব। তারপর হত্যা না আত্মহত্যা সে বিষয়ে বলা যাবে। আমরা চাই, সত্য একটি প্রতিবেদন হোক। ’

পরে দিয়াজের মামলায় দায়িত্বে থাকা সিআইডির চট্টগ্রাম জোনের এএসপি অহিদুল রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘মামলার অবস্থা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে। দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতেবদন পাওয়ার পরই মামলার তদন্ত এগোবে। ’

এদিকে দিয়াজ ‘হত্যার’ বিচারের দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই নম্বর গেটে বিক্ষোভ করেছে তার অনুসারীরা। তারা এসময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুকে দিয়াজের হত্যাকারী দাবি করে তার কুশপুত্তলিকা পোড়ায়।

গত ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দুই নম্বর গেট এলাকার নিজ বাসা থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, ১ জানুয়ারি ২০১৭

জেইউ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।