চট্টগ্রাম: কাপ্তাইয়ের রাইখালি রেঞ্জের বিভিন্ন বাগানে বন বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যোগসাজসে চলছে কাঠ পাচার।
পাল্পউড (নরম কাঠ) বাগান উজাড় করে পাচার হওয়া এসব কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে ইটভাটার জ্বালানী হিসেবে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাঠ পাচারের ব্যাপারে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের একাধিকবার অবহিত করা হলেও তারা এর প্রতিকারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে রাইখালি রেঞ্জের কর্মকর্তা এনামুল হকের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি ৩/৪টি রেঞ্জের দায়িত্ব পালন করছি। একেকটি রেঞ্জ অনেক বড় হওয়ায় সবগুলো রেঞ্জের দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খাচ্ছি।
তবে রেঞ্জ কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশ ও টোকেনের মাধ্যমে পাচারকারীরা বন উজাড় করে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কেটে ফেলা গাছের বেশীরভাই এ এলাকার গভীর জঙ্গলের একটি অবৈধ ইট ভাটায় যায় বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে।
ডং নালার গ্রামবাসী সাথুই অং মারমা জানান, দিনদুপুরে ডং নালা ক্রাবোয়ং সংঘ উদ্যানের সরকারি গাছ, পরিগ্যাপাড়া সড়কের বাঁশ কেটে নিয়ে যায় প্রভাশালী কাঠ পাচারকারীরা।
স্থানীয়রা জানান, অবৈধভাবে পাহাড় ও বন কেটে রাস্তা তৈরী করে চোরাই কাঠ ব্যবসায়ীরা অন্তত ৭টি ট্রাক ও ২০টি চাঁদের গাড়ি রাইখালি বান্দরবান ও ডগনালা সড়ক দিয়ে পাল্পউড বাগানে প্রবেশ করে।
প্রতিরাতে অর্ধশতাধিক চোরাই জ্বালানীকাঠ বোঝাই চাঁদের গাড়ী ফেরিতে কর্নফুলি নদী অতিক্রম করে ইটভাটাগুলোর দিকে যায়।
পাল্পউড বাগান বিভাগের রাইখালী ডিপো কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম জানান, কাঠ চোরেরা সশস্ত্রভাবে বনাঞ্চলে অবস্থান করে, তারা খুবই দুর্ধর্ষ। চাইলেও অনেক সময় প্রতিরোধ করা দুরূহ হয়ে পড়ে।
“আমরা সমস্ত প্রতিকূলতার মধ্যেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। রেঞ্জের বনকর্মী ছাড়াও এখানে একটি বিশেষ টিম কাজ করছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৪