চট্টগ্রাম: নগরীর মোড়ে মোড়ে পরিত্যক্ত ঝরণা। মুখ পোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার।
বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পর বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের এটিই হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় আয়োজন। চট্টগ্রাম এ আয়োজনের দ্বিতীয় বৃহত্তম ভেন্যু। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড়, ক্রীড়ামোদিরা জড়ো হবেন বন্দরনগরীতে। তাদের কাছে এ শহরকে বিশ্বমানের নগরী হিসেবে উপস্থাপনের কোন তাগাদাই যেন নেই নগর কর্তৃপক্ষের।
বিশ্বকাপের বাকি মাত্র ১২দিন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সৌন্দর্য বর্ধনে কোন কার্যক্রমই হাতে নেয়নি সিটি করপোরেশন। গ্রহণ করেনি কোন পরিকল্পনাও। তবে ভেন্যু শহর হওয়ায় ক্ষণস্থায়ী কিছু সৌন্দর্য বাড়ানোর কাজ করছে করপোরেশন, যা নিয়মিত কাজেরই অংশ বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে রাজধানী সাজাতে ১১৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। একই ইভেন্টে চট্টগ্রাম অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু হলেও বন্দরনগরীকে সাজাতে কোন বরাদ্দ নেই সরকারের।
তবে অভিযোগ রয়েছে, বরাদ্দ পেতে সরকারের কাছে কোন ধরণের চাহিদা পাঠায়নি করপোরেশন। একনেকের বৈঠকের মাত্র এক সপ্তাহ আগে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে ডিও লেটার পাঠানো হয়। কিন্তু সেই চাহিদা পত্রেও নির্দিষ্ট অংকে কোনো বরাদ্দ চাওয়া হয়নি।
বিষয়টি স্বীকার করেছেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমেদ। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্দিষ্ট কোন বাজেট করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকেও করপোরেশনকে কোনো বরাদ্দ দেয়নি। তবে যেখানে যা লাগে তা করপোরেশনের সামর্থ্য অনুযায়ী খরচ করা হবে। ’
করপোরেশনের পক্ষ থেকে কোন বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিলো কি না জানতে চাইলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী আহমদ বলেন, ‘আগের বার কোন টাকা না পাওয়ায় এবার নির্দিষ্ট কোন বরাদ্দ চাওয়া হয়নি। তবে একটি ডিও লেটার পাঠানো হয়েছিল। ’
২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় সরকারের পক্ষ থেকে নগরীর সৌন্দর্য বর্ধনে ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার কথা জানানো হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। ’
করপোরেশন সুত্র জানায়, টি-২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিমান বন্দর থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কের গর্তগুলো ভরাট করা হচ্ছে। সংস্কার করা হচ্ছে সড়কের ভাঙ্গা-চোরাও। তবে নতুন করে কোনো কার্পেটিংয়ের কাজ করা হচ্ছে না। আইল্যান্ডে লাগছে রংয়ের আচড়। নালা-নর্দমাও পরিস্কার করা হবে। ফুটপাত পরিচ্ছন্ন রাখতে চালানো হবে উচ্ছেদ অভিযান। আলোকসজ্জার ব্যবস্থাও করবে করপোরেশন। এসবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নগরীর সৌন্দর্য বর্ধন। কিন্তু চট্টগ্রামের সংস্কৃতি কিংবা ঐতিহ্য তুলে ধরতে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।
সংস্কার কাজেরও তেমন গতি নেই। শুরু হয়নি উচ্ছেদ অভিযানও। করপোরেশনের একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে বলেন,‘রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আগে থেকে সরকারের কোনো নির্দেশনা না থাকায় করপোরেশনও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ কারণে কিছুটা উদাসীন কর্তৃপক্ষ। এখন যেসব কাজ করা হচ্ছে তা করপোরেশনের নিয়মিত কাজেরই অংশ। ’
সিটি করপোরেশন ম্যাজিস্ট্রেট নাজিয়া শিরিন বাংলানিউজকে বলেন,‘মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে। চলবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১৪