ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

এমইবি গ্রুপের পাঁচ কর্ণধারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৪
এমইবি গ্রুপের পাঁচ কর্ণধারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত

চট্টগ্রাম: খেলাপি ঋণের ‍মামলায় এমইবি গ্রুপের পাঁচ কর্ণধারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির চার ঘণ্টার মাথায় সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হয়ে মামলার কার্যক্রমের উপর হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ দাখিল করেছেন তাদের আইনজীবী।

চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মুজিবুর রহমান উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশ আমলে নিয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে দেয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও স্থগিত করেছেন।



যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল তারা হলেন, এমইবি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শামসুল আলম ও তার স্ত্রী কামরুন নাহার, তার ভাই ও একই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান নূরুল আবছার ও তার স্ত্রী তাহমিনা বেগম এবং আরেক ভাই ও একই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নূরুল আলম।

দু’ভাইয়ের স্ত্রী এমইবি গ্রুপের অন্যতম পরিচালক।
একই মামলায় পরিচালক হিসেবে শামসুল আলমের মা জয়নাব বেগম আসামী হিসেবে থাকলেও মারা যাবার পর আদালত থেকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে মামলায় আসামীদের বিরুদ্ধে ‍অভিযোগ গঠন করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। চার ঘণ্টার মাথায় বিকেল ৪টার দিকে আদালতে হাজির হয়ে উচ্চ আদালতের সার্টিফাইড কপি জমা দেন এমইবি গ্রুপের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম।

চট্টগ্রাম মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৩ সালের অক্টোবরে মামলার কার্যক্রমের উপর হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছেন। কিন্তু আসামীর আইনজীবী ওই স্থগিতাদেশ বিচারিক আদালতে জমা দেননি। আজ (সোমবার) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর তড়িঘড়ি করে এসে সার্টিফাইড কপি জমা দেন। এরপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা স্থগিত করেছেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ইষ্টার্ণ ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণ পরিশোধের অংশ হিসেবে ২০১২ সালের ৩ এপ্রিল ন্যাশনাল ক্রেডিট এন্ড কমার্স ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার বিপরীতে ২১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয় এমইবি গ্রুপ।

ওই বছরের ৪ এপ্রিল চেকের বিপরীতে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ‘অপর্যাপ্ত তহবিলের’ জন্য চেক ডিজঅনার হয়। এরপর ৫ এপ্রিল তাদের প্রথম দফা নোটিশ দেয় ইষ্টার্ণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।

কয়েক দফা লিগ্যাল নোটিশ দিয়েও ঋণগ্রহীতার সাড়া না পেয়ে ইষ্টার্ণ ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার বিশেষ সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী ব্যবস্থাপক আরিফুল হক বাদি হয়ে ২০১২ সালের ৫ জুন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

উল্লেখ্য শামসুল আলম নগর বিএনপির সহ-সভাপতি। ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ব্যর্থ হয়ে শামসুল আলম বিএনপিতে যোগ দেন।

** স্ত্রী, ভাইসহ বিএনপি নেতা শামসুল আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ঘণ্টা, মার্চ ০৩,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad