চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম টেস্টে মুখোমুখি হতে স্বাগতিক বাংলাদেশ ও সফরকারী শ্রীলংকা ক্রিকেট দল চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে নভোএয়ার ও রিজেন্ট এয়ারওয়েজের পৃথক ফ্লাইটে তারা চট্টগ্রামে পৌঁছায়।
৪ ফেব্রুয়ারী থেকে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে চট্টগ্রাম জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এছাড়া একই স্টেডিয়ামে ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারী দুটি টি টোয়েন্টি ম্যাচও খেলার কথা রয়েছে।
এদিকে শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ দলের চট্টগ্রাম সফর উপলক্ষ্যে ‘বিশেষ নিরাপত্তা’ ব্যবস্থা নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ(সিএমপি)।
বিমানবন্দর সুত্র জানায়, শনিবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ৪টা ২০মিনিটে পৌঁছায় শ্রীলংকান ক্রিকেট দল। এরপর ৫টা ১৫মিনিটের দিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় টিম হোটেল পেনিনসুলায় পৌঁছায় দল দুটি।
বিসিবি’র পিচ কিউরেটর জাহিদ রেজা বাবু বাংলানিউজকে বলেন, ‘রোববার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সাড়ে বারটা পর্যন্ত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করবে শ্রীলংকা ক্রিকেট দল। দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল। ’
গত ১০ডিসেম্বর আগ্রাবাদ হোটেলের পাশে ককটেল বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে সফর বাতিল করে ফিরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনুর্ধ্ব-১৯ দল। এবার যে কোন ধরণের অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে নগর পুলিশ।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার বাবুল আক্তার বাংলানিউজকে জানান, সিরিজটি ইতিমধ্যে ‘বিশেষ নিরাপত্তা অগ্রাধিকার প্রাপ্ত’ হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় খেলোয়াড়দের চলাচলের সময় নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তায় যানবাহন চলাচল শূন্য থাকবে এবং পার্কিং থাকবে না। এতে নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। জাতীয় স্বার্থে বিষয়টি বিবেচনার জন্য নগরবাসীকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
তিনি জানান, আগামী ২-৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টেস্ট ম্যাচ এবং ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। খেলা উপলক্ষে স্টেডিয়ামে দর্শকগণ আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি, খেলনা অস্ত্র, বিষ্ফোরক দ্রব্য, ধাতব রড, লাঠি জাতীয় বস্তু, লেজার পয়েন্টার, আয়না, গ্যাস, বডিস্প্রে জাতীয় কন্টেইনার, মাদকদ্রব্য, মদ (এলকোহল) জাতীয় পানীয়, কাঁচের বোতল, জীবজন্তু, শিংগা জাতীয় বাদ্য যন্ত্র, খাদ্য-দ্রব্য, বাণিজ্যিক বা প্রফেশনাল ক্যামেরা ও ভিডিও ক্যামেরা (শৌখিন ক্যামেরা ও হ্যান্ডিক্যাম ব্যতিত) ইত্যাদি বহন করতে পারবে না।
এছাড়া, অশ্লীল, রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিকারী বক্তব্য ও টুর্নামেন্টের স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানের স্বার্থের জন্য ক্ষতিকারক কোন ছবি সম্বলিত ব্যানার বা প্রচারণামূলক ব্যানার প্রদর্শন বা বহন করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারী ০১, ২০১৪