ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

র‌্যাবের বিরুদ্ধে মামলা কেন, জানতে চেয়েছে অপহরণকারীরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৪
র‌্যাবের বিরুদ্ধে মামলা কেন, জানতে চেয়েছে অপহরণকারীরা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রামের ধনাঢ্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে মৃদুল চৌধুরীকে অপহরণের পর নির্যাতনের সময় কেন স্বর্ণ লুটের ঘটনায় র‌্যাবের মেজরকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছিল তা জানতে চেয়েছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার ভোরে উদ্ধারের পর পুলিশ কর্মকর্তাদের মৃদুল চৌধুরী বিষয়টি জানিয়েছেন।

তবে পরবর্তীতে তিনি এবং তার পরিবার বিষয়টি চেপে যান। এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না নগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাও।


অপহরণ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্ত‍া কোতয়ালী থানার এস আই মো.কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, মৃদুল চৌধুরী সুস্থ হলে তাকে আদালতে হাজির করে ভিকটিম হিসেবে ২২ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হবে। আশা করি, জবানবন্দিতে তিনি অপহরণ ও পরবর্তী ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত বলবেন।

নগর পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ‘অপহরণের পর প্রথমে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণের কথা বলা হয়েছিল। পরে বলেছে, টাকা লাগবেনা, মামলা কেন করলি বল। র‌্যাবের মেজরকে আসামী করলি কেন ? মৃদুল চৌধুরী অসুস্থ বলে হয়ত এসব কথা এখনও পুরোপুরি প্রকাশ পাচ্ছেনা। সব হয়ত পরে খোলাসা হবে। ’

মৃদুল চৌধুরী বর্তমানে নগরীর ও আর নিজাম রোডে বেসরকারি রয়েল হাসপাতালে  চিকিৎসাধীন আছেন। পরিবারের সদস্যদের বাইরে মঙ্গলবারও তাকে কারও সঙ্গে কথা বলতে দেয়নি পুলিশ।

মৃদুলের ছোট ভাই শিমুল চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, উনার (মৃদুল চৌধুরী) হার্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে। তার ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ বেড়ে গেছে। তিনি এখন চিকিৎসকদের নিবিড় তদারকিতে আছেন।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর পুরাতন টেলিগ্রাফ রোডে নিজ বাসার সামনে থেকে র‌্যাবের বিরুদ্ধে মামলা করে আলোচিত ধনাঢ্য স্বর্ণ ব্যবসায়ী মৃদুল চৌধুরীকে তুলে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এসময় তাদের এক আত্মীয় বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে দুর্বৃত্তরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করে।

এ ঘটনার পর মৃদুল চৌধুরীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, জানুয়ারির মাঝামাঝিতে র‌্যাবের এক কর্মকর্তাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ৮০ ভরি স্বর্ণ লুটের একটি মামলা দায়ের করেন মৃদুল চৌধুরী। এ ঘটনার জের ধরে র‌্যাব তাকে অপহরণ করেছে বলে সন্দেহ করেন মৃদুলের স্ত্রী ও ভাই।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার কংশনগর বাজার থেকে দেবপুর ফাঁড়ির পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
 
সোমবার ভোর পৌনে ৪টায় মৃদুলকে কংশনগর এলাকায় চোখ বাঁধা অবস্থায় কৃষি জমিতে ফেলে দিয়ে যায় অপহরণকারীরা। পরে আহত অবস্থায় মৃদুল কংশনগর বাজারে এলে বাজারের নৈশপ্রহরী হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া তাকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান।

খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে দেবপুর ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। সোমবার বিকেল ৫টার দিকে তাকে চট্টগ্রামে এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮,২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।