চট্টগ্রাম থেকে: হাতে গরম চায়ের কাপ। তার মধ্যে চট্টগ্রাম এজলাসে চলছে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার রায় ঘোষণা।
বৃহস্পতিবার সকালে চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে মাদারবাড়ি থেকে আসা জাহিদ হোসেন বলেন, আরে ভাই নিজেগো শাসনামলে এতো বড় অস্ত্রের চোরা চালান আসলো।
দশ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাতে কারা জড়িত ছিলো এইটা সবাই জানতো। তারপর থেকেই মানুষের মন উইঠা গেছে বিএনপির ওপর থেকে।
জাহিদ হোসেনের এক আত্মীয় মামলা সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে এসেছেন আদালতে, জানান তিনি।
তার পাশে বসে থাকা বন্ধু ইব্রাহীম বলেন, ক্ষমতায় থাকলে অনেক কিছুই করা যায়। এখন তারা ক্ষমতায় নেই তাই তাদের আসামি করা গেছে।
জাহিদ হোসেন বলেন, হ্যাঁ, ক্ষমতায় ছিলো বলেই তারা দশ ট্রাক অস্ত্র আনার মতো সাহস দেখিয়েছিলো।
তর্ক বেশ জমে উঠেছে। কথা যদিও দুই বন্ধুর মধ্যে হচ্ছিল তার সঙ্গে পাশের টেবিলে বসে থাকা আনিস রহমান বলে উঠেন না না তাদের আমলে এতো বড় অস্ত্রের চালান আসছে। আর তা কি তখনকার ওপর মহলের লোকজন জানতো না? সবাই জড়িত ছিলো। ১০ ট্রাক অস্ত্রই ছিলো বিএনপির জন্য সব চেয়ে বড় ব্যর্থতা। কই তারাতো পরে এ বিষেয়ে কোনো কথা বলেন নি। তখন তারা শুধু বলেছেন, তাদের কাছে নাকি সব তথ্য আছে।
আনিস রহমানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জাহিদ হোসেন বলে উঠেন, আরে ভাই আমিও তো তাই বলি। বর্তমান সময়ে মিডিয়া যেভাবে তৎপর রয়েছে এখন কোনো কিছু গোপন করতে চাইলে তা সম্ভব হয় না। বিএনপির কাছে যদি তথ্য থাকে তাহলে তা মিডিয়াকে দিয়ে দিক তারাই মানুষকে জানাবেন। রাজাকারগো দিয়া মন্ত্রিসভা সাজাইছিলো। এবার বুঝুক, কতো ধানে কতো চাল।
যুক্তি যেন কারো কাছেই কম নেই।
ইব্রাহীম বলেন, এটা যদি এতো জলের মতো পরিষ্কার হয় তাহলে আগে কেন বিচার করলেন না। পাঁচ বছর সরকার কি করেছে তাহলে?
সরকার চেয়েছে কোনো ফাঁক ফোকর না রেখে তদন্তকাজ সম্পন্ন করে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে। তাই সময় লেগেছে।
এমন আরো নানা তর্ক বিতর্কে পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিনা শর্তে তাই যেন কেউ কারো যুক্তি মেনে নিতে নারাজ। কিছুক্ষণ পরই রায় শুরু হবে। বের করে আনা হবে আসামিদের। আবার তাই হেঁটে চলা আদালতের মূল ভবনের দিকে। তর্ক চলতেই থাকে। আশেপাশের অন্যরাও এসে যোগ দেন সে আলোচনায়।
রায়ের জন্য অপেক্ষা
বাংলাদেশ সময়: ১২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪