ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

পাঁচ বছর থাকব: মোশাররফ

স্পেশার করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০১৪
পাঁচ বছর থাকব: মোশাররফ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আমরা সংবিধান অনুযায়ী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছি। আমরা পাঁচ বছর থাকব।

আগামী নির্বাচন হবে পাঁচ বছর পর।

শনিবার বিকেলে নগরীর লালদিঘী ময়দানে এক গণসংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রামের দু’মন্ত্রী ও দু’প্রতিমন্ত্রী এবং নির্বাচিত সাংসদদের এ গণসংবর্ধনা দিয়েছে উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগর আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।

সভায় মোশাররফ বলেন, খালেদা জিয়া এখন একূল, ওকূল দুকূল হারিয়েছেন। তিনি সংসদ নির্বাচনে আসেননি। আগামীতে উপজেলা নির্বাচন হবে। উপজেলা নির্বাচনে কি খালেদা জিয়া তার নেতাদের ধরে রাখতে পারবেন ?

মোশাররফ বলেন, অনেকে বলছেন, আবার একটা নির্বাচন হবে। আবার নির্বাচন হবে, তবে পাঁচ বছর পর। আমরা পাঁচ বছরের নির্বাচিত হয়েছি, পাঁচ বছর থাকব। আগামী নির্বাচন নিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে অবশ্যই আলোচনা হবে। তবে তার আগে বেগম জিয়াকে জামায়াত ও জঙ্গীবাদের সঙ্গ ছাড়তে হবে।

তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীতে টানেল অবশ্যই করব। ডিসি হিলকে পূর্ণাঙ্গ পার্ক করব। চট্টগ্রামের উন্নয়নে যা যা করা দরকার সব হবে।    

সমাবেশে সংবর্ধিত পানিসম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশিরা অনেক কথা বলছেন। সবার মনে রাখা উচিৎ, বাংলাদেশ এখন আর পরাধীন দেশ নয়। এ দেশ কারও কথায় চলবেনা। এ দেশ কোন বিদেশি শক্তির রায় নিয়ে চলবেনা, দেশের মানুষের রায়ে চলবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ গরীব দেশ নয়। পাকিস্তানের আছে মাত্র সাত বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ আর বাংলাদেশের রিজার্ভ ১৮ বিলিয়ন ডলার। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে অনেকে ভেবেছিল, রপ্তানি কমে যাবে। অথচ গত তিন মাসে ১৮ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

সংবর্ধিত ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, মন্ত্রীসভায় আমরা চট্টগ্রামের তিনজন আছি। আমরা মিলেমিশে চট্টগ্রামের উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করব। আমরা চট্টগ্রামকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাব।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির সভাপতি সাংসদ মঈনউদ্দিন খান বাদল, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাংসদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইছহাক মিঞা, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুল আলম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান, ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভি, দিদারুল আলম ও মাহফুজুর রহমান মিতা, মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, শাহজাদা মহিউদ্দিন, নগর আওয়ামী লীগ নেতা বদিউল আলম, এম এ রশিদ, সীতাকুণ্ডের সাবেক সাংসদ এবিএম আবুল কাশেম মাষ্টার প্রমুখ।

সভায় এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা ঢাকায় বসে মিলেমিশে চট্টগ্রামের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিন, বাস্তবায়ন করুন। টানেল করুন, ট্রানজিটের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। চট্টগ্রামের অসমাপ্ত উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত করুন।

মঈনউদ্দিন খান বাদল বলেন, বিএনপি টিকে থাকুক আমরা সেটাই চাই। কিন্তু বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়ার ভুল নেতৃত্ব বিএনপিকে বেকায়দায় ফেলে দিয়েছে। বেগম জিয়া গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে সমালোচনা করতে পারেন, কোন আপত্তি নেই। কিন্তু রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে ফেললে, মানুষ পুড়িয়ে মারলে, গাছ কেটে অবরোধ করলে দেশের আইন আপনাকে ছাড়বেনা।

সাংসদ ড.আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দিন নদভি বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকা সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আগে ছোট পাকিস্তান ছিল। নির্বাচনের পর এটা স্বাধীন হয়েছে।

মোছলেম উদ্দিন আহমেদ বলেন, যারা মন্ত্রী, এমপি হয়েছেন, দয়া করে কর্মীদের ভুলে যাবেন না, জনগণকে মনে রাখবেন। কর্মীদের ঘাম-শ্রমের কারণেই আপনারা গলায় মালা পরেছেন। জনগণের সঙ্গে যেন কোন প্রতারণা না হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩০ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮,২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।