ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চবিতে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৪
চবিতে শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: ক্যাম্পাসে স্বাধীনতা বিরোধী জঙ্গী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বিভিন্ন প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন।

বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদে’র ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।



সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিষদের মুখপাত্র ও চবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মোস্তফা সাইফুল ইসলাম রুমেন।

তিনি বলেন,‘১৯৮৬ সালে ছাত্র সমাজের নেতা হামিদের হাত কেটে উল্লাস করে যুদ্ধাপরাধী জামায়াতের দোসর শিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাস, হত্যা, চাঁদাবাজী ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতি শুরু করে।
এরপর থেকেই মৌলবাদী গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে প্রগতিশীল আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের হত্যা করে সন্ত্রাসী ও জঙ্গী তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। ’

সম্প্রতি ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক জালাল আহমেদের ওপর হামলা করে ফের জঙ্গীবাদের উত্থানের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

দেশের শিক্ষাঙ্গন থেকে যুদ্ধাপরাধীদের দোসর শিবির সন্ত্রাসীদের উৎখাতের প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়ে রুমেন বলেন,‘‘ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে জঙ্গীবাদী শিবিরের রাজনীতি অনেক আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে না করায় তারা এখানে ‘দূর্গ’ গড়ে তুলছে। ’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে বহিরাগত শিবির ক্যাডাররা অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাস সংলগ্ন পাহাড়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণসহ বোমা তৈরি ও দেশীয় মরণাস্ত্র তৈরি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মোস্তফা সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন,‘ক্যাম্পাস থেকেই এসব মরণাস্ত্র ও নাশকতার সরঞ্জামাদি নগরীসহ বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করছে জঙ্গীবাদী এ সংগঠনটি। ’

তিনি বলেন, ‘‘জঙ্গীবাদ নির্মূলের স্বার্থে দেশজুড়ে কঠোর অভিযান চলায় নানা অপকর্ম ও নাশকতামূলককাজ করে বহিরাগত শিবির ক্যাডাররা ‘নিরাপদ’ চবি ক্যাম্পাসে অবস্থান নিচ্ছে। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের স্বার্থে ক্যাম্পাসে জঙ্গীবাদী শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। ’’

‘কেননা শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করে ক্যাডারদের গ্রেপ্তার ও বহিরাগতদের উৎখাত করলেই সাধারণ শিক্ষার্থীসহ দেশ ও জাতি শঙ্কামুক্ত হবে। ’

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করে চবি ছাত্রলীগের এই নেতা বলেন,‘চবিতে যারা একসময় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে, শিক্ষাজীবন শেষ করার পর তাদেরকে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর তারাই ক্যাম্পাসে শিবিরের নাশকতা, বোমা ও মরণাস্ত্র তৈরির কার্যক্রম মনিটরিং করছে। ’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘প্রশাসনকে বিষয় জানানোর পর কোন সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চোখে পড়েনি। তবে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। ’

এরপর চবি ছাত্রলীগের নূর মোহাম্মদ নাজমুল এবং সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক ও চবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছাত্রলীগ চবি শাখার সহ-সভাপতি সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর টিপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদে ছাত্রমৈত্রী, ছাত্রসেনা, ছাত্রসমাজ রয়েছে বলে জানানো হয়। তবে ছাত্রলীগ ছাড়া অন্যান্য সংগঠনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উল্লেখযোগ্য কোন নেতাকে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।