ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

চট্টগ্রামে শীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা

আবদুল্লাহ আল মামুন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০১৪
চট্টগ্রামে শীতে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত তিনদিনে প্রায় কয়েক শতাধিক শিশু চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হয়েছে।

এদের মধ্যে অধিকাংশ ডায়রিয়া আক্রান্ত। অন্যরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ম্যালেরিয়া, মেনিনজাইটিস ও অ্যাজমাসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত।


চিকিৎসকরা বলছেন, অভিভাবকরা একটু সচেতন হলে শীতকালিন রোগ থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখা সম্ভব।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু রোগ বিভাগে গত তিনদিনে ভর্তি হয়েছে প্রায় শতাধিক শিশু। এরমধ্যে ৩৮জন শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। গত সোমবার দু’জন শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

চট্টগ্রাম মা, শিশু ও জেনারেল হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৩০০টি শয্যা রয়েছে। বর্তমানে কোন শয্যাই খালি নেই। হাসপাতালের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন কয়েক’শ শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছে। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশুই শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। অন্যরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ম্যালেরিয়া, মেনিনজাইটিস ও ভাইরাসজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।

এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও শিশু ভর্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা গেছে।

আনোয়ারা থেকে শিশু প্রতীকা দাশকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে ‍আসেন অরুন দাস। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে হঠাৎ করে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়। সোমবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসি। ’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শিশু রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, শীত শুরু হওয়ার পর ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া বা ব্রঙ্কিওলাইটিস, অ্যাজমাসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। মায়ের দুধই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এসময় শিশুদের পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশ থেকে দূরে রাখতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুদের ডায়রিয়া সাধারণত স্বল্পস্থায়ী। পানিশূন্যতা পূরণ, ঘন ঘন বুকের দুধ ও স্বাভাবিক খাবার খাওয়ানো ছাড়া আর কোনো চিকিৎসার দরকার হয় না। ৭-১০ দিনের মাথায় প্রায় সব বাচ্চা সুস্থ হয়ে ওঠে। তা ছাড়া বেশির ভাগ ডায়রিয়া ভাইরাসজনিত বলে অ্যান্টিবায়োটিকেরও প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু দুই সপ্তাহের পরও যদি ডায়রিয়া না সারে এবং শিশু গুরুতর বা মধ্যমমাত্রার পানিস্বল্পতায় ভোগে, তবে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত। ’     

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারী ০৮, ২০১৪
সম্পাদনা: তপন চক্রবর্তী, ব্যুরো এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad