ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের আরও ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই চক্রের আরও ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম : নগরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের মামলায় আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় গত বৃহস্পতিবার দুজনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।

শনিবার (৩০ মার্চ) রাতভর নগরের কোতোয়ালী, পতেঙ্গা ও হাটহাজারী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই নিয়ে এই মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

 

গ্রেপ্তার ৬ জন হলেন, সাজ্জাদ হোসেন সিফাত (২২), মুজিবুল হাসান তাসির (১৯), শাহাদাত হোসেন (৩৮), জাহাঙ্গীর আলম (৩৩), মো. হানিফ (৩৮) এবং মীর আহম্মদ বিপ্লব (৩৫)। এদের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার সিফাত ও তাসিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ সকালে নগরের কোতোয়ালী থানার সিআরবির কাঠের বাংলো সংলগ্ন রাস্তায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ৩ থেকে ৪ জন আসামি নুরউদ্দীন আশরাফী ও আবছার নামে দুইজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এসব ছিনতাই করা জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল ১২টি স্বর্ণের হাতের বালা, ৯টি স্বর্ণের আংটি, ৬টি স্বর্ণের লকেটসহ সর্বমোট ৩০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার, ৩টি মোবাইল সেট, ৩টি ডেল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ ও ৬ কার্টুন সিগারেট। এ ঘটনায় মোহাম্মদ নুরউদ্দীন আশরাফী বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করেন। গত ২৮ মার্চ নগরের কোতোয়ালী, চকবাজার ও পাঁচলাইশ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, ছিনতাইয়ের সময় ব্যবহৃত দুটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া ছিনতাই করা সোনার গহনা বিক্রি বাবদ প্রায় আড়াই লাখ টাকা, গলিত অবস্থায় প্রায় ৯০ গ্রাম সোনা এবং মোবাইল ও ল্যাপটপ ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়।

সিএমপি কোতোয়ালী জোনের সহকারী কমিশনার অতনু চক্রবর্তী জানান, গ্রেপ্তার সকলেই পেশাদার একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ নগরের বিভিন্ন এলাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিরা নিজেদেরকে কখনো সাংবাদিক, কখনো কাস্টমস কর্মকর্তা আবার কখনো ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে থাকে। চক্রের একজন সদস্য চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর এলাকায় অবস্থান করে বিদেশ ফেরত যাত্রীদের গতিবিধি, তাদের গাড়ির তথ্য এবং যাত্রীদের অবয়বের বর্ণনা সংগ্রহ করে একাধিক ছিনতাইকারী চক্রের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এসব তথ্যের ভিত্তিতে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নজর এড়ানোর জন্য ভুয়া স্টিকারযুক্ত মোটরসাইকেলে করে যাত্রীদের অনুসরণ করে সুবিধামত ফাঁকা জায়গায় সিগন্যাল দিয়ে গাড়ি থামায়। গাড়ি থামিয়ে তারা কখনো ডিবি পুলিশ আবার কখনো কাস্টমস কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চেকপোস্টের কথা বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাত্রীদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকার, ল্যাপটপ, মোবাইলসহ দামি জিনিসপত্র হাতিয়ে নেয়। পরে যাত্রীদের গাড়িতে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সুবিধাজনক নির্জন স্থানে গিয়ে যাত্রীদের রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ছিনতাই করা মালামাল বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে দেয়

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৪
এমআই/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।