ঢাকা, শনিবার, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৭ জুলাই ২০২৪, ২০ মহররম ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

সদারঙ্গের ২৬তম জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন শুরু

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
সদারঙ্গের ২৬তম জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন শুরু

চট্টগ্রাম: ‘তুম তা না না রি রে নোম, রি রে নোম তা না না নোম’এই অর্থবিহীন সাংগীতিক শব্দযোগে, সম্মেলক ধ্রুপদী সুরের মাধ্যমে আবির্ভাব হলো রাগ কেদারের। শুদ্ধ মধ্যম ও কোমল নিখাদের সঙ্গে তবলার পাখোয়াজি বোলের যুগলবন্দি, তানপুরার অবারিত অনুরণন থেকে সৃষ্ট সুরের মূর্ছনা-  স্রোতাদের নিয়ে গেল পরম আনন্দলোকে।

এমন অনুভূতি নিয়ে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের থিয়েটার ইনস্টিটিউটে শুরু হলো সদারঙ্গ উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিষদ বাংলাদেশ আয়োজিত ২৬তম জাতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীত সম্মেলন-২০২৩। এবারের সম্মেলন উৎসর্গ করা হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিবপুরের খাঁ বাড়ির ছোট সন্তান বাবা আলাউদ্দিনের কনিষ্ঠ ভ্রাতা উস্তাদ আয়েত আলী খাঁকে।

সন্ধ্যা ৬টায় সম্মেলনের উদ্বোধন পর্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন করেন একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার। সভাপতিত্ব করেন সদারঙ্গের সহসভাপতি প্রফেসর ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরী।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন শুরু হয় উচ্চাঙ্গ সংগীতের অতি প্রাচীন সংগীত ধারা ‘ধ্রুপদ’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। রাগ কেদারের সুরে বার মাত্রায় চৌতালে নিবদ্ধ পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর সুর বিন্যাসে সম্মেলক ধ্রুপদ পরিবেশন করেন সদারঙ্গের শিক্ষার্থী সদস্যরা। তবলা সঙ্গত করেন  শিল্পী রাজীব চক্রবর্তী।

এরপর রাগ মেঘমাল্লার পরিবেশন করেন কুমিল্লার শিল্পী ফারুক আহম্মেদ, তবলায় ছিলেন চট্টগ্রামের শিল্পী সানি দে। হারমোনিয়ামে ছিলেন ফাল্গুনী বড়ুয়া।

রাগ মধুবন্তীতে মুগ্ধ করেন চট্টগ্রামের শিল্পী প্রমিত বাড়ুয়া। তবলায় ছিলেন রাজীব চক্রবর্তী।

রাগ বেহাগের বিরহী রূপ ফুটে তোলেন ঢাকার শিল্পী দিপ্তী সমাদ্দার দিপু। তবলায় ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রশান্ত ভৌমিক।

সেতারে রাগ চারুকেশি পরিবেশন করেন খুলনার শিল্পী জ্যোতি ব্যানার্জী। রাগ ভাটিয়ারীতে ধুন পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সম্মেলনের প্রথম দিনের সমাপ্তি হয়।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) তৃতীয় ও প্রভাতী অধিবেশনে সকাল ৯টায় শুরু হবে শিশু-কিশোরদের উচ্চাঙ্গ সংগীত পরিবেশনা। ৪র্থ অধিবেশনে সেমিনারে ‘তবলার একক বাদন ও সঙ্গত’ বিষয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন পণ্ডিত শ্যামল দেব। আলোচক থাকবেন পণ্ডিত সুভাষ কান্তি দাস। পঞ্চম অধিবেশনে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে উচ্চাঙ্গ সংগীত। পরিবেশন করবেন আগরতলার পণ্ডিত শ্যামল দেব (তবলা), পণ্ডিত সুভাষ কান্তি দাস (তবলা), রাজশাহীর আলমগীর পারভেজ সুমন (কণ্ঠ), আমেরিকার পারমিতা দাশ মুমু (কণ্ঠ), পশ্চিমবঙ্গ দিপ্তনীল ভট্টাচার্য (সরোদ), অপরাজিতা চৌধুরী (বেহালা), মো. হোসাইন চিশতী (তবলা লহড়া), অনিন্দ্য দে (তবলা লহড়া), মনস্বিতা দে (কণ্ঠ) ও আদৃতা রুদ্র (কণ্ঠ)।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।