ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ মে ২০২৪, ০৫ জিলকদ ১৪৪৫

ক্রিকেট

৬৩ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো ইংল্যান্ডের  

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২০
৬৩ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো ইংল্যান্ডের   জয়ের নায়ক স্টোকসকে নিয়ে উল্লাসে মেতেছে ইংল্যান্ড দল: ছবি-সংগৃহীত

পঞ্চমদিনে জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল ৩১২ রান। আর সিরিজে সমতায় ফিরতে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের ৮ উইকেট। তবে কেপটাউন টেস্টের লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হেসেছে ইংলিশরা। স্বাগতিকদের ১৮৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে চার ম্যাচ টেস্ট সিরিজের সমতায় ফিরেছে জো রুটের দল। এর আগে সেঞ্চুরিয়ন টেস্ট জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল ফাফ ডু প্লেসিসরা। 

ইংল্যান্ডর দেওয়া ৪৩৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪৮ রানে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে তারা প্রথম ইনিংসে করেছিল ২২৩ রান।

নিউল্যান্ডে টসে জিতে প্রথম ইনিংস শুরু করা ইংল্যান্ড করেছিল ২৬৯ রান। ৪৬ রানে এগিয়ে থেকে ডমিনিক সিবলির সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ৩৯১ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছিল সফরকারীরা।   

এই জয়ে এক দীর্ঘ অধ্যায়ের অপেক্ষার ইতি টানলো ইংল্যান্ড। ৬৩ বছর পর কেপটাউনে জয় পেয়েছে তারা। ইতিহাস হাতছানি দিচ্ছিল প্রোটিয়াদেরও। ২০০৮ সালের পার্থ টেস্টের কথা মাথায় রেখে ৪৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল তারা। সেবার গ্রায়েম স্মিথ ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৪ রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।  

কেপটাউন টেস্ট জিতলে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়ের পাশাপাশি আরেকটি বিশ্ব রেকর্ডও গড়তে পারতো স্বাগতিকরা। ২০০৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪১৮ রান তাড়া করে ৩ উইকেটে জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যা টেস্টে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড।

কিন্তু পঞ্চমদিনে ইংলিশ বোলারদের সামনে তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি প্রোটিয়ারা। মঙ্গলবার (০৭ জানুয়ারি) ২ উইকেটে ১২৬ রানে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা যেন ব্যাটিং নামে ড্রয়ের জন্য। তবে তাদের এই কৌশল কাজে লাগেনি।

দিনের শুরুতে কেশব মহারাজ (২) ফেরার পর মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে চেষ্টা করেন আগেরদিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান পিটার মালান। কিন্তু আগেরদিনের ৬৩ রানের সঙ্গে আর ২১ রান যোগ করতেই ব্যক্তিগত ৮৪ রানে তিনি সাজঘরে ফেরেন স্যাম কারেনের বলে।  

বড় ইনিংস খেলতে পারেননি অধিনায়ক ডু প্লেসিসও (১৯)। তবে মাটি কামড়ে পড়ে থাকতে চেষ্টা করেন রসি ফন ডার ডাসেন ও কুইন্টন ডি কক। উইকেটরক্ষক ডি কক (৫০) ফিফটি করলেও ১৪০ বল খেলে মাত্র ১৭ রান করতে পারেন ডাসেন।  

দুজনের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে প্রোটিয়রা। শেষদিকে পরপর ভারনন ফিল্যান্ডার (৮), ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস (০), এনরিখ নর্তজেকে (০) তুলে নেন বেন স্টোকস। কাগিসো রাবাদা অপরাজিত ছিলেন ৩ রানে।  

গত বছর জুটে আলো ছড়িয়েছিলেন স্টোকস। এবার নতুন বছরের শুরুতেও ইংল্যান্ডের জয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখলেন তিনি। প্রোটিয়াদের দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছে ৩ উইকেট। এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন তিনি।  ব্যাট ও বল হাতে উজ্জ্বল স্টোকসের হাতে ওঠছে ম্যাচ সেরার পুরস্কার।  

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
ইউবি 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।