ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

ক্রিকেট

পথ দেখালেন কোহলি, ‘ফিনিশিং’ টানলেন ধোনি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৯
পথ দেখালেন কোহলি, ‘ফিনিশিং’ টানলেন ধোনি জয়ের দুই নায়ক কোহলি ও ধোনি-ছবি: সংগৃহীত

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতে উড়তে থাকা ভারতকে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই মাটিতে নামিয়ে এনেছিল অজিরা। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়িয়ে অজিদের সমতায় ফিরলো ভারত। আর তাতে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব দিলেন ব্যাটসম্যান কোহলি। তবে সবার নজর কেড়েছেন দীর্ঘদিন পর ‘ফিনিশার’ রূপে দেখা দেওয়া মহেন্দ্র সিং ধোনি।

মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) অ্যাডিলেড ওভালে কোহলির ৩৯তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি ও ধোনির টানা দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ভর করে ২৯৯ রানের বড় টার্গেটও পেরিয়ে যায় ভারত। তুলে নেয় ৬ উইকেটের জয়।

এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফিরিয়েছেন কোহলিরা।

১১২ বলে ১০৪ রান এসেছে ভারতীয় অধিনায়কের ব্যাট থেকে আর ধোনির ব্যাট থেকে এসেছে ৫৪ বলে অপরাজিত ৫৫ রান। শেষদিকে ১৪ বলে ২৫ রান করা দিনেশ কার্তিকের সঙ্গে নিয়ে নাজুক পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত জুটি গড়েছেন ধোনি, যা দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছে। এছাড়া ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা (৪৩) ও শিখর ধাওয়ানও (৩২) রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেন দুই ভারতীয় ওপেনার। আগের ম্যাচে গোল্ডেন ডাক মারা ধাওয়ান অ্যাডিলেডে বেশ সাবলীল ব্যাটিং করেন। যদিও ব্যক্তিগত ৩২ রানে বিদায় নেন এই বাঁহাতি। কিন্তু তার বিদায়ে উল্টো সুফল পায় ভারত। কারণ, ক্রিজে আসেন ম্যাচের নায়ক কোহলি।  

কোহলি ক্রিজে এসে সঙ্গী রোহিতকে নিয়ে অজিদের হাত থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ কেঁড়ে নেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৫৪ রান। রোহিতকে তুলে নিয়ে জুটি ভাঙেন অজি পেসার মার্কাস স্টয়নিস।

আম্বাতি রাইডু ও কোহলি তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৫৯ রান যা ভারতকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে। কোহলি এদিন বিশেষ এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন। রান রেট কখনো হাতের মুঠো থেকে ছিটকে যেতে দেননি।  

আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ফিফটি পেয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু বল খেলেছিলেন অনেক বেশি আর দলও জয় পায়নি। তাই এই ম্যাচে তার দিকেই তাকিয়ে ছিল ভারতীয় শিবির। অভিজ্ঞতার মূল্য তিনি রেখেছেন। অধিনায়ক কোহলির দেখানো পথে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন এই বিশ্বকাপজয়ী তারকা।

ছয় নম্বরে নামা কার্তিক যেভাবে দলের জয় ত্বরান্বিত করেছেন তা চোখে লেগে থাকার মতো। তবে ধোনির ইনিংসটিই ভারতীয়দের জন্য দারুণ স্বস্তির। টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামা ভারতের ঠিক এমনই এক ইনিংস জরুরী ছিল। অ্যাডিলেডের গরমে ৩৭ বছর বয়সী ধোনির এই ইনিংসটি ‘স্পেশাল’ হিসেবেই অভিহিত করা হচ্ছে।

এই ম্যাচের আরেক সেঞ্চুরিয়ান অজি তারকা শন মার্শের প্রশংসা না করলে তার প্রতি অবিচারই করা হবে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েও জয়ের মালা গলায় দিতে পারলেন না তিনি। ভুবনেশ্বর কুমার ও মোহাম্মদ শামি দুই অজি ওপেনারকে তুলে নেওয়ার পর ক্রিজে এসে ১২৩ বলে ১২৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দিয়েছেন তিনি।  

এছাড়া দ্রুতগতিতে ৪৮ রান করেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বাকিদের ব্যাটে বলার মতো আর কোনো ইনিংস না এলেও ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৮ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।  

বল হাতে ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচ করে ৪ উইকেট নিয়েছেন ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার। ৩ উইকেট পকেটে পুরেছেন মোহাম্মদ শামি আর ১ উইকেট গেছে রবীন্দ্র জাদেজার দখলে।

ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।