ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

কালো মেঘে ঢেকে গেছে রাজশাহীর আকাশ, বইছে দমকা হাওয়া

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
কালো মেঘে ঢেকে গেছে রাজশাহীর আকাশ, বইছে দমকা হাওয়া কালো মেঘে ঢেকে গেছে রাজশাহীর আকাশ

রাজশাহী: সিত্রাং সিভিয়ার সাইক্লোনে রূপ নিয়ে দ্রুত উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের অন্যান্য স্থানে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হলেও রাজশাহীতে এখন আবহাওয়া রয়েছে শুষ্ক।

তবে সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের পর থেকে রাজশাহীর আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়া৷ 

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রাজশাহীতে দুপুরের পর থেকে আর সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। কালো মেঘে ঢেকে আছে রাজশাহীর আকাশ। সেই সঙ্গে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস। তবে, রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ রুটে চলাচলকারী ফ্লাইটগুলোর ওঠানামা এখনো রয়েছে স্বাভাবিক।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, উত্তরাঞ্চলে বড় ধরনের তেমন কোনো আশঙ্কা না থাকলেও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার দুপুরের পর থেকে রাজশাহীতে দমকা বাতাস শুরু হয়েছে। হয়তো এই বাতাসের তীব্রতা বাড়বে আরও। সেই সাথে বৃষ্টিও শুরু হতে পারে।

আর বৃষ্টি শুরু না হলেও ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকেই রাজশাহীর আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করে। দুপুরের পর আবহাওয়া পুরোপুরি পাল্টে যায়। মেঘলা আবহাওয়া ও ঠাণ্ডা বাতাস জানান দিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আসছে। এছাড়া ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে হেমন্তের শুরুতেই অনুভূত হচ্ছে শীতের আমেজ।

রাজশাহীতে সোমবার ভোর ৬টা ৭ মিনিটে সূর্যোদয় হলেও মেঘের কারণে সকালের পরই আর রোদের দেখা মেলেনি বলে জানান আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আজ আবহাওয়ায় ভিন্নতা দেখা দিয়েছে। সকাল থেকে হালকা মেঘ থাকলেও দুপুরের পর তা ঘন হয়ে ওঠে। এখন কালো মেঘে ঢেকে আছে রাজশাহীর আকাশ।  

আব্দুস সালাম জানান- ভোর ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ। আর বিকেল ৩টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তখন বাতাসের আদ্রতা ছিল ৭৯ শতাংশ।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আবহাওয়া কেমন থাকবে প্রশ্নে- রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, খুব একটা বেশি আশঙ্কা নেই রাজশাহীর জন্য। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রথমে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হতে পারে। এরপর হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে হতে পারে। সেসঙ্গে বয়ে যাবে দমকা হওয়া। তবে ঝড়ের তীব্রতা না থাকলেও বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮ কিলোমিটার হতে পারে। এখন বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় মাত্র ৭ থেকে ৮ কিলোমিটার। তবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানলে এই বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়ার তীব্রতা বাড়তে পারে।  

বিভাগীয় শহর রাজশাহীর জন্য আপাতত আর কোনো পূর্বাভাস নেই বলেও জানান ওই ঊর্ধ্বতন আবহাওয়া কর্মকর্তা।

এদিকে পরিবর্তিত আবহাওয়ার কারণে প্লেন ওঠা নামায় কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রাজশাহীর শাহ মখদুম (রহ.) বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক দিলারা পারভীন বাংলানিউজকে বলেন, আবহাওয়া মেঘলা থাকলেও প্লেন ওঠা নামায় তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ রুটের সব ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে এবং আবহাওয়া অন্যরকম রূপ নিলে ফ্লাইট চলাচলে বিঘ্ন হতে পারে।  

ঢাকা থেকে এই ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন- বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২২
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।