ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

হাতি হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে পাপেট শো

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
হাতি হত্যার প্রতিবাদে জাবিতে পাপেট শো ছবি: বাংলানিউজ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): দেশে হাতি হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষীদের বিচারের দাবিতে সমাবেশ, মানববন্ধন ও পাপেট শো করেছে ডীপ ইকোলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশন।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করে সংগঠনটি।

সমাবেশে সংগঠনটির প্রায় অর্ধশত সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবাদী সমাবেশে কাকতাড়ুয়া পাপেট থিয়েটার সচেতনামূলক একটি পাপেট প্রদর্শনী করে। প্রদর্শনীতে হাতি রক্ষায় এগিয়ে আসা ও হাতির প্রতি সহানুভূতিশীল হতে আহ্বান জানানো হয়। আসাদুজ্জামান আশিকের নেতৃত্বে পাপেট প্রদর্শনীতে অংশ নেন তানভির তারেক, সোহানা তানজিম, জারিন তাসনিম তুলতুল, নুসরাত জাহান শিল্পী।

সমাবেশে ডীপ ইকোলজি এন্ড স্নেক রেসকিউ ফাউন্ডেশনের সভাপতি মাহফুজুর রহমান বলেন, হাতি হত্যার প্রতিবাদে ও সচেতনতা সৃষ্টি করতেই আমাদের আজকের আয়োজন। হাতি হলো প্রকৃতির প্রাণ। অথচ সেই প্রাণকে হত্যা করা হচ্ছে নির্বিচারে। প্রতিনিয়ত দেশে অসংখ্য হাতি হত্যার শিকার হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে ২৫০টির মত হাতি রয়েছে। তবে নিয়মিত যেভাবে হাতি হত্যা করা হচ্ছে তাতে শীঘ্রই এই সংখ্যাটি শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। হাতি হত্যার সময় বলা হচ্ছে হাতি ফসল ধ্বংস করছে কিন্তু এটা কেউ বলছে না যে হাতির আবাস দখল করে মানুষ জনবসতি গড়ে তুলছে, ফসলের আবাদ করছে।

মাহফুজ বলেন, বন বিভাগের উচিত হাতি রক্ষায় কঠোর নিরাপত্তা বলয় সৃষ্টি করার পাশাপাশি নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করা। মানব সমাজ যেন হাতিদের লোকালয়ে না চলে যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা।

দেশের বন্যপ্রাণী রক্ষা ও হাতির নিরাপদ আবাসস্থল করার দাবি দীর্ঘদিনের। তবে এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী অধিদপ্তর কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে দাবি করেন বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ।

তিনি বলেন, বনবিভাগ ও আইইউসিএনের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে হাতি মহাবিপন্ন তালিকায় আছে এবং সবমিলিয়ে দেশে মাত্র ২৬৮টি এশীয় হাতি বাস করছে। এরমধ্যে আমদের জানা মতে গত ৯ নভেম্বর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫টি হাতি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শেরপুরে একটি হাতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাকিগুলোকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

আদনান আজাদ আরও বলেন, পাহাড়ি এলাকায় হাতিদের বসবাস ফলে সব তথ্য আমাদের কাছে আসে না। আমরা আশঙ্কা করছি আরও হাতি হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। হাতি হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রশাসনের এমন ব্যর্থতার ফলে হাতি হত্যার মত ঘৃণিত কাজ বেড়ে যাচ্ছে। হাতি হত্যা প্রতিরোধে জন সাধারণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রশাসনকে আরও কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় হাতি হত্যা বেড়েই চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০২১
কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।