ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

৯০ হাজার প্রাণীর জীবন বাঁচালো আরউইন পরিবার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২০
৯০ হাজার প্রাণীর জীবন বাঁচালো আরউইন পরিবার স্টিভ আরউইনের বাঁধানো ছবির সামনে দাঁড়িয়ে তার মেয়ে বিন্ডি আরউইন। ছবি: সংগৃহীত

ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে অস্ট্রেলিয়া। এতে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ কোটি প্রাণী মারা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে স্তন্যপায়ী, পাখি ও সরীসৃপসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্য ও গৃহপালিত প্রাণী। দাবানলে পুড়ে মরার হাত থেকে প্রাণীদের বাঁচাতে কাজ করছে বেশকিছু সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবী পরিবেশকর্মী। এমনই কাজে নিয়োজিত রয়েছে দেশটির আরউইন পরিবার।

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম পরিবেশবিদ ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ এবং ‘দ্য ক্রোকোডাইল হান্টার’ হিসেবে পরিচিত স্টিভ আরউইন প্রাণীদের রক্ষায় নিজের জীবন ঝুঁকিতে ফেলতেও দ্বিধা করতেন না। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূলবর্তী অঞ্চলে একটি বিষাক্ত স্টিংগ্রে মাছের কামড়ে মারা যান স্টিভ।

তার মৃত্যুর পর আরউইন পরিবারের অন্য সদস্যরা বন্যপ্রাণীদের রক্ষায় কাজ করছে।

আরউইন পরিবার এ পর্যন্ত ৯০ হাজারেরও বেশি প্রাণী উদ্ধার করেছে ও চিকিৎসা সেবা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ান দাবানলে আহত অসহায় বন্যপ্রাণীরাও।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামের এক পোস্টে বিন্ডির ভাই রবার্ট আরউইন ‘ওলি’ নামে একটি প্লাটিপাসের ছবি দিয়ে বলেন, সেটি তাদের বন্যপ্রাণী হাসপাতালের ৯০ হাজারতম রোগী।

এসময় ২১ বছর বয়সী বিন্ডি বলেন, আরউইন পরিবার পরিচালিত অস্ট্রেলিয়ান চিড়িয়াখানার কোনো অংশেই আগুন নেই। ওই জায়গায় নিরাপদে রয়েছে সব প্রাণী। তবে তাদের চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণী হাসপাতালটি খুব ব্যস্ত দাবানলে আহত প্রাণীদের সেবায়।

বিন্ডি বলেন, আমার বাবা-মা অস্ট্রেলিয়ান চিড়িয়াখানা বন্যপ্রাণী হাসপাতাল উৎসর্গ করেছেন আমার দাদির নামে। তাদের স্মরণে আমরাও ‘বন্যপ্রাণী যোদ্ধা’ হিসেবে যত সম্ভব তত প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাবো।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) এ পরিবেশকর্মী ও সংরক্ষণবাদী একটি ‘অপসাম’ এর (এক জাতীয় স্তন্যপায়ী প্রাণী) ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে লেখেন, ওর (অপসামটির) জীবন বাঁচানোর জন্য খুব চেষ্টা করা হচ্ছে।

অনেক চেষ্টার পরেও বাঁচানো যায়নি ‘ব্লসম’কে।  ছবি: সংগৃহীত

কিন্তু অনেক চেষ্টা পরেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি ‘ব্লসম’ নামে ওই প্রাণীটিকে। এভাবেই অস্ট্রেলিয়ার দাবানলে অসংখ্য প্রাণী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে। দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মধ্য-দক্ষিণ উপকূলবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত প্রায় আট হাজার কোয়ালা মারা গেছে এতে, যা ওই অঞ্চলের কোয়ালাসংখ্যার এক তৃতীয়াংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।