ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

জলবায়ু পরিবর্তন-অযৌক্তিক নগরায়নে বাড়ছে ঝুঁকি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
জলবায়ু পরিবর্তন-অযৌক্তিক নগরায়নে বাড়ছে ঝুঁকি ‘জলবায়ু সহনশীল নগর: বিকল্পের অনুসন্ধান’ শীর্ষক সেমিনার/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগজনিত সমস্যা ও অযৌক্তিক নগরায়ন শহরগুলোকে অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে। এমন প্রেক্ষাপটে সমন্বিত উদ্যোগ না নিলে শহরের পরিবেশ আরও খারাপ হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ ভবনে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত ‘জলবায়ু সহনশীল নগর: বিকল্পের অনুসন্ধান’ শীর্ষক সেমিনারে কথা বলেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

সেমিনারে অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।



প্রবন্ধে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতোমধ্যে নগরগুলোতে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। শুধু ২০১৭ সালে বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ঢাকা-চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থান ও পরিবহন ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব ফেলে। জলাবদ্ধতা ও অতিবৃষ্টির কারণে নারী-শিশুসহ সব শ্রেণীর মানুষের চলাচল অনিরাপদ হয়ে উঠছে।  

 তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের শতকরা ৩৪ শতাংশ মানুষ নগরে বসবাস করে। অথচ গত ২০/২৫ বছরে পরিকল্পিতভাবে কোনো নগরায়ন হয়নি। যেখানে সেখানে ঘর-বাড়ি উঠে যাচ্ছে। আবর্জনা ব্যবস্থাপনায় সমস্যা রয়েছে। একইসঙ্গে দক্ষ প্রশাসনিক ব্যবস্থা, অযৌক্তিক ও অনুপোযুক্ত নগরায়ন শহরের পরিস্থিতি খারাপ করছে। সঙ্গে যোগ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগজনিত সমস্যা।

জলবায়ু পরির্তন ও নগরের ঝুঁকি বিষয়ে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, আগে জলবায়ুর একটা সীমারেখা ছিল। কিন্তু এখন আর সেটা নেই। যে সময়ে শীত থাকার কথা সে সময়ে থাকছে না। আমাদের শহর জলবায়ুর জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. সলিমুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন একটি সমস্যা। তার সঙ্গে যোগ হচ্ছে নগরায়নের বিষয়। সমস্যাগুলো সমধানে সচেতনতা বাড়াতেই হবে। যারা ক্ষমতায় আছেন তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

অনুষ্ঠানে জলবায়ু পরিবর্তন ও নগরায়ন সমস্যা সমাধানে অ্যাকশনএইডের কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো: উন্নয়ননীতিতে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অন্তর্ভুক্ত, ব্যক্তিগত ও যৌথ কিছু অভ্যাস পরিবর্তন, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা রক্ষা করা, উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কাজে সরকার ও নাগরিকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বা নেতৃত্ব নিশ্চিত  করা, নগর বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য অর্থ ও মানবসম্পদের বিনিয়োগ বাড়ানো।
 
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বিভাগের উপ-প্রধান নুরুন নাহার, জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশের সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর খুরশিদ আলম প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
এমসি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।