ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জলবায়ু ও পরিবেশ

আরো এগিয়ে এসেছে মোরা, বাতাসের বেগ ১১৭ কিমি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
আরো এগিয়ে এসেছে মোরা, বাতাসের বেগ ১১৭ কিমি  পতেঙ্গায় ফুঁসছে সাগর। ছবি: উজ্জ্বল ধর

ঢাকা: বাংলাদেশের দিকে ক্রমেই এগিয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোরা। সোমবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এটি কক্সবাজার উপকূল থেকে মাত্র আড়াইশ’ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিদফতর।

এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ১০ নম্বর এবং মংলা ও পায়রা বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত বহাল রাখা হয়েছে।

উপকূলে এবার ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ জানান, মঙ্গলবার (৩০ মে) সকাল ৬টা নাগাদ চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও হাতিয়া এবং কক্সবাজারের বেতবুনিয়া দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

মোরা’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
 
উপকূলের এলাকার বাসিন্দাদের ইতোমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে সরকার। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ঝড়টি অতিক্রমকালে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
 
ঝড়টি সোমবার রাত ৯টায় উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬০ কিলোমিটার ও কক্সবাজার থেকে ২৮০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিলো। একই সময়ে মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ঝড়ের অবস্থান ছিলো ৪৩০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে সাড়ে তিনশ’ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্ব দিকে।
 
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপগুলোকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
 
আর মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের পাশাপাশি ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৭
এমআইএইচ/জেডএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।