ঢাকা, বুধবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

হিমালয়ে নতুন প্রজাতির ২০০ প্রাণি-উদ্ভিদ

বাংলানিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
হিমালয়ে নতুন প্রজাতির ২০০ প্রাণি-উদ্ভিদ

পৃথিবী থেকে কতো প্রাণি ও উদ্ভিদ যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে, কতো প্রজাতি যে বিলুপ্তির কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে তার ইয়ত্তা নেই। এসবই হলো নিরাশার কথা।

কিন্তু নিরাশার মধ্যে মাঝেমাঝে উঁকি দেয় আশা। তেমন আশার কথাই শুনিয়েছেন প্রাণিও উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের বেশ ক’টি দেশের অরণ্য-পাহাড়ে প্রায় ২০০ প্রজাতির নতুন প্রাণি ও উদ্ভিদের সন্ধান মিলেছে। এসবের মধ্যে আছে মাটির ওপর হাঁটতে সক্ষম ‘ওয়াকিং ফিশ’ নামের মাছ ও ‘স্নিজিং মাংকি’ নামে সারাক্ষণ  নাক ঝাড়ায় ব্যস্ত এক ধরনের বানর। গত কয়েক বছর ধরে চলা জরিপ ও গবেষণায় এদের অস্তিত্ব নজরে এসেছে প্রাণিবিদদের। প্রাণিকে পাওয়া গেছে মূলত নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারের উত্তরাংশ, তিব্বতের দক্ষিণাংশ এবং ভারতের উত্তর পূর্বাংশের বিস্তৃত অরণ্যে। নতুন পাওয়া এসব নতুন প্রজাতির মধ্যে আরও আছে ১৩৩ প্রজাতির উদ্ভিদ, ২৬ প্রজাতির মাছ, ১০ ধরণের উভচর প্রাণি, এক প্রজাতির সরিসৃপ, এক প্রজাতির পাখি ও এক প্রজাতির স্তন্যপায়ী।     

সবচে কৌতূহলকর আবিষ্কা হচ্ছে স্নিজিং মাংকি। এই বানরের কথা বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন উত্তর মিয়ানমারের পাহাড়ি এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে। তারা জানান এই বানরকে দেখা যায় বৃষ্টি হবার সময়। ওদের ভোতা নাকের ছিদ্র দিয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকে যায় আর সেই পানি বের করার জন্য ওরা সারাক্ষণই নাক ঝাড়তে থাকে।   

বৃষ্টির অত্যাচার থেকে বাঁচতে এরা বৃষ্টির সময়টায় দু’হাঁটুর ফাঁকে মাথা গুজেঁ রাখে। প্রতিটি নতুন আবিষ্কৃত প্রাণি হিমালয় অঞ্চলের অফুরান প্রাণ-বৈচিত্র্যের প্রমাণ বহন করে। এটা সুসংবাদ বটে। তবে দু:সংবাদ হচ্ছে এই অঞ্চলে যে হারে বন উজার হচ্ছে, প্রকৃতি ও পরিবেশ যে হারে ধ্বংস করা হচ্ছে, অবৈধভাবে প্রাণিহত্যা চলছে, জলবিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরি করে যেভাবে বায়ু ও পানিদূষণ চলছে, তাতে করে অনেক প্রজাতিই বিলুপ্ত হবার হুমকির মুখে।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০১৫
জেএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।