ঢাকা, বুধবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

রক্তখেকো পোকা থেকে সাবধান!

পরিবেশ-জীববৈচিত্র্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
রক্তখেকো পোকা থেকে সাবধান!

ঢাকা: বনের পথে হাঁটতে গেলে এবার থেকে একটু সাবধান হবেন। না, বাঘ-ভাল্লুক বা বড় কোনো প্রাণী থেকে বাঁচতে সাবধান হতে বলছি না! রক্তখেকো ক্ষুদ্র পরজীবীর কামড় থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্যই এ সাবধানতা।



পতিত জমি ও বনাঞ্চলে বসবাসকারী পোকাটি দেখতে খুবই নিরীহ। রক্তখেকো বলে মনেই হবে না। মাকড়শার মতো আটটি পা রয়েছে তার। চেহারায় হিংস্রতার লেশমাত্র নেই। কিন্তু এক কামড়েই আপনাকে আক্রান্ত করতে পারে দুরারোগ্য ব্যাধিতে বা পৌঁছে দিতে পারে মৃত্যুর দুয়ারে।


লন্ডনের রিচমন্ড পার্কে পাওয়া এ পরজীবী পোকাটি লাইম রোগের বাহক বলে জানা যায়। বোরেলিয়া বার্গডোরফেরি (Borrelia burgdorferi) সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া বহন করে বলে এ পোকাটি কামড়ালে মানুষের দেহে লাইম রোগের জীবাণু প্রবেশ করে। একইসঙ্গে এটি রক্ত শুষে নেয়।

লাইম রোগের আসন্ন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, হৃদরোগ ও মুখমণ্ডলের পেশির প্যারালাইসিস।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, যদি কোনো ব্যক্তিকে এ পোকা কামড় দেয় তাহলে ধারালো টুইজার দিয়ে পোকাটিকে তুলে ফেলতে হবে।

পোকাটি কামড় দেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে অ‍াক্রান্ত স্থান লাল হয়ে যাবে ও কামড় দেওয়ার তিন থেকে ৩০ দিনের মধ্যে আক্রান্ত স্থানে ফুসকুড়ি দেখা দিতে পারে।

এছাড়াও সংক্রমিত ব্যক্তির ফ্লু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এর লক্ষণগুলো হলো- ক্লান্তিবোধ, পেশী ও জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর, শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া এবং ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া।

এর দীর্ঘমেয়াদী ঝুঁকি হচ্ছে এ ধরনের অসুস্থতা পরবর্তীতে হৃদযন্ত্র ও স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
এসএমএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।